সামাজিক নিরাপত্তা খাতে শেখ হাসিনা সরকারের অবদান | বাংলারদর্পন 

নিউজ ডেস্ক: বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের দিশারী এবং গরিব-মেহনতি, সাধারণ মানুষের সহমর্মী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যাপক বিনিয়োগের মাধ্যমে গরিব মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে চলেছেন। সমাজের প্রান্তিক, অবহেলিত এবং পিছিয়ে পড়া মানুষদের এগিয়ে নিতে একাধিক সুরক্ষা প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনাই প্রথম গরিব, দুঃস্থ, বিধবা, বয়স্ক মানুষদের নিয়ে বিশদ চিন্তা-ভাবনা করে দুর্দশা লাঘবে বিভিন্ন ভাতা, অনুদান ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছে। দশ টাকা কেজিতে চাল বিতরণ, বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ, স্বল্পমূল্যে ট্রাকে করে খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করছে সরকার। শেখ হাসিনা সরকারের লক্ষ্য হলো দেশের একটি মানুষও না খেয়ে থাকবে না। কেউ গৃহহীন থাকবে না। দারিদ্রকে জয় করে প্রতিটি নাগরিকের মুখে হাসি ফোটাতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার।

আমাদের সকলেরই জানা যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের জনগণের দুর্দশা লাঘবে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি চালু করেন। তিনিই প্রথম রেশন, খোলাবাজারে ভোগ্যপণ্য বিক্রি ও রিলিফ বিতরণ কর্মসূচি শুরু করেন।

সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী খাতে ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে ১৬ হাজার ৭০৬ কোটি টাকা থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ব্যয় লক্ষ্যমাত্রা ২২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।

সামাজিক সুরক্ষামূলক কর্মসূচির আওতায় বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা ও দুঃস্থ ভাতা, পঙ্গু, প্রতিবন্ধী ও অসহায়দের জন্য ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, ভর্তুকি মূল্যে খোলা বাজারে খাদ্যপণ্য বিক্রি, ভিজিডি, ভিজিএফ, টেস্ট রিলিফ, কাজের

বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির আওতায় খাদ্য সহায়তা, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ইত্যাদি কর্মসূচির বাস্তবায়ন করেছে সরকার।

বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ২০ লক্ষ থেকে ২৪ লক্ষ ৭৫ হাজারে উন্নীত করেছে বর্তমান সরকার। বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত দুঃস্থ মহিলা ভাতাভোগীর সংখ্যা ৯ লক্ষ ২০ হাজারে উন্নীত। অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর সংখ্যা ২ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ ৮৬ হাজারে উন্নীত করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।

দরিদ্র গর্ভবতী মা, কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার এবং কৃষিকাজে নিয়োজিত প্রান্তিক নারী কর্মীদের জন্য ভাতা প্রদান।

৫০ হাজার ভূমিহীন, গৃহহীন ও ছিন্নমূল পরিবারকে পুনর্বাসন এবং সিডর ও আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার উন্নয়নের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প গ্রহণ।

অটিজম বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাকায় একটি অটিজম রিসোর্স সেন্টার ও একটি অবৈতনিক অটিস্টিক স্কুল চালু করেছে সরকার।

বিসিএস ক্যাডারসহ অন্যান্য সরকারি চাকুরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে এতিম ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হয়েছে।

একটি বাড়ি একটি খামার- প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৯২৩টি ইউনিয়নের ১০ লক্ষ ৩৮ হাজার পরিবারকে ১৭ হাজার ৩০০ গ্রাম সংগঠনের মাধ্যমে খামারিতে উন্নীতকরণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *