খন্দকার রবিউল ইসলাম, রাজবাড়ী : আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিদুল-উপলক্ষে দৌলতদিয়া ঘাটসহ রাজবাড়ী জেলার আইন শৃঙ্খলা এবং যানবাহন নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিশেষ মতবিনিময় সভা করেছেন পুলশি সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি।
২০মে রোববার বেলা ১১টায় জেলা পুলিশ প্রশসানের আয়োজনে পুলিশ সুপারের সম্মলেন কক্ষে এই মতবনিমিয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সুপার আসমা বলেন, দৌলতদিয়া ঘাট সহ রাজবাড়ী জেলার কোথাও অবৈধ ভাবে কোন চাঁদা আদায় করতে দেওয়া হবে না। যদি কেউ করার চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন দৌলতদিয়া ফেড়ি ঘাট কে ঘিরে যে চাঁদাবাজী চলে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ,দালাদের মাধমে তা বন্ধ করতে পুলিশ সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে।তিনি আরো বলেন, মাহেন্দ্র থেকে গোয়ালন্দে(২০),রাজবাড়ীতে (৪০), পাংশা (৩০) এভাবে প্রতিদিন একটি গাড়ি থেকে (৯০)টাকা করে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে, কারা এই চাঁদাবাজীর সাথে জড়িত খুজে বের করে, সকল চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।পুলিশ সুপার আরো বলেন, বাস মালিক ও মাহেন্দ্র মালিকেদের নির্দেশনা দেন ঈদে ভাড়ার তালিকা প্রত্যেক বাস স্ট্যান্ড গুলোতে ভাড়ার তালিকা টাঙ্গিয়ে রাখতে হবে।
পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলির সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রাকিব খান , অতিরিক্ত পুলশি (সদর র্সাকেল)মোঃ রেজাউল করিম, অফিসার ইনচার্জ গোয়ালন্দঘাট থানা, বিআইডব্লিউটি এ ও বি আই বিআইডব্লিউ টি সি এর কর্মকর্তা, বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোরাদ হোসেন, শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রশিদ, ব্যবসায়ী মোঃ নজরুল মন্ডল, সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও কলকাতা TV এর প্রতিনিধি খন্দকার রবিউল ইসলাম, মাহেন্দ্র মালিক সমিতির নেতৃবন্দ, প্রমুখ।
উক্ত সভায় সভাপতি বিভিন্ন টকিং পয়েন্টে ফোর্স মোতায়েন সহ ছিনতাই, ডাকাতি নিয়ন্ত্রণ কল্পে মৃত্তিকার গন্ধে, নাড়ির টানে সবাই বাড়ী ফিরে ঈদ উদযাপন করিতে পারে সে লক্ষে সকলকে আহবান জানান।
ঈদে দীর্ঘদিন ধরে চলা দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য ছিনতাই, পকেটমারসহ অন্য অপরাধীরা প্রস্তুত থাকে যাত্রীদের সব কিছু লুটে নেওয়ার জন্য। এসব বিষয় মাথায় রেখে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি সার্বক্ষণিক দৌলতদিয়া ঘাটের চিত্র পর্যবেক্ষণের জন্য বন্ধ থাকা সিসি ক্যামেরা পূণরায় চালালু করার সিদান্ত গ্রহন করেন।
জমিদার ব্রীজ, গোয়ালন্দ বাসষ্ট্যান্ড ও ব্রীজ এলাকা, পদ্মার মোড়, ফিড মিলের সামনে, বাংলাদেশ হ্যাচারীর মোড়, গোয়ালন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে রোড ডিভাইডারের ফাকা স্থান ,ক্যানাল ঘাট এলাকায় রোড ডিভাইডারের ফাঁকা ফাকা স্থান, মডেল স্কুলের সামনে রোড বিভাইডারের ফাঁকা স্থান সহ মোট ৫টি স্থানে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প থাকবে। এবং লঞ্চ ঘাট, ফেরি ঘাট, বাস টার্মিনালে ঘাটে দায়ীত্বরত সকল পুলিশ সদস্যদের ফোন নাম্বার দেওয়া থাকবে বলে জানান।