ফেনী প্রতিনিধি : সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ফেনী পৌর যুবলীগের সম্মেলন আজ মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় শহরের ডিএম কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে শহরের বিভিন্নস্থানে বিলবোর্ড স্থাপন ও তোরণ লাগানো হয়েছে। শহর জুড়ে সম্মেলনের পোষ্টারিং করা হয়। এদিকে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ দুটির একটি নিজেদের দখলে আনতে সিনিয়রদের কাছে ধর্ণা দিয়েছেন অনেকেই এমনটি জানিয়েছেন দলীয় সূত্র।
সূত্র জানায়, ২০১৫ সালে ফেনী পৌর যুবলীগের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এতে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলামকে আহবায়ক, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গাজী খালেদ ইমাম জুয়েল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুর রহমান হানিফ ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল হোসেন বাবলুকে যুগ্ম-আহবায়ক করা হয়। তাদের নের্তৃত্বাধীন কমিটি পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করে কাজ চালিয়ে আসছে। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডের কর্মীসমাবেশ করা ছাড়াও জেলার দলীয় কর্মসূচিগুলোতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেন পৌর যুবলীগ।
৫ মে শনিবার রাতে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী জেলা যুবলীগ নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ করে পৌর যুবলীগের সম্মেলনের দিনক্ষণ ঠিক করেন। সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই কাঙ্খিত পদ প্রত্যাশীদের মাঝে তোড়জোড় শুরু হয়।
পৌর যুবলীগের শীর্ষ এ দুই পদে যাওয়ার জন্য পদ প্রত্যাশীরা চালিয়ে যাচ্ছেন জোর তদবির ও লবিং। তারা বিভিন্নভাবে তাদের যোগ্যতা এবং দলের জন্য ত্যাগকে সামনে এনে আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও নিজেদের আইডিতে দালীয় কর্মকান্ডের ছবি প্রকাশ করে নিজেদের অবস্থান জানান দিয়েছেন। তবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী এবং সংগঠনের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত এমন গুণাবলীসম্পন্ন লোকেরা শীর্ষপদে আসীন হতে পারেন বলে দলীয় নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়।
সূত্র জানায়, জেলার মধ্যে ফেনী পৌরসভা বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া এটি ফেনী-২ সংসদীয় আসনে হওয়ায় পৌর যুবলীগের কমিটি গঠন নিয়ে নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে তার ঘনিষ্ঠজন সূত্র জানায়। সম্মেলনকে সামনে রেখে নেতৃত্ব বাছাইয়ে যারা নেতৃত্বের যোগ্যতায় এগিয়ে থাকবে তারা শীর্ষ পদ পাবে। সে ক্ষেত্রে সাংগঠনিক যোগ্যতা, দক্ষতা, ও দলের প্রতি নিবেদিতরাই এ পদে আসতে পারেন। এছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচনের ক্রিটিক্যাল মুহূর্তে সংগঠন সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবে কি-না এটিও বিবেচনায় থাকবে বলে ওই সূত্র জানায়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, পৌর যুবলীগের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম ভূঞাকে সভাপতি করে, যুগ্ন আহবায়ক গাজী খালেদ ইমান জুয়েল ও ইকবাল হোসেন বাবলুকে সাধারণ সম্পাদক করে পৌর যুবলীগের কমিটি ঘোষনা হতে পারে। তবে দলীয় কর্মকান্ডে সক্রিয় থাকায় অপর যুগ্ন আহবায়ক তৌহিদুর রহমান হানিফকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি হতেও পারে বলে তার ঘনিষ্ঠজন সূত্র জানায়।
এছাড়া সভাপতি পদে পৌর যুবলীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক জিয়াউল আলম মিস্টার, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরমান চৌধুরী প্রার্থী হতে পারেন বলে তাদের সমর্থকরা জানায়। এক্ষেত্রে সভাপতি পদে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সফল ছাত্রনেতা রফিকুল ইসলাম ভূঞার ব্যপারে দলীয় হাই কমান্ড সন্তুষ্ঠ থাকায় সভাপতি পদে সে এগিয়ে রয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়।
ফেনী পৌর যুবলীগের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম ভূঞা জানান, ইতিমধ্যে সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ হয়েছে। এছাড়া ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী পৌর যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের যোগ্য মনে করবেন তাদের দিয়েই কমিটি হবে বলে তিনি জানান।