নিউজ বাংলারদর্পন :
‘গোলাম রাব্বানী’ নামটা যেন আশা- ভালোবাসার ফুল হয়ে ফুটেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পাতায় পাতায়।
গোলাম রাব্বানী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক। গোলাম রাব্বানী তৃণমূল ছাত্রলীগের পরম আস্থার প্রতীক আর তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠার কারণ, যখনি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অযাচিত মিথ্যাচার করা হয়েছে তখনি তার প্রতিবাদী লেখনী আর ক্ষুরধার বক্তব্যের মাধ্যমে উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন।
যখনি ছাত্রলীগে নানা হাত হয়ে সুবিধাবাদী নব্য হাইব্রীড ঢোকার চেষ্টা করেছে, তখনি অসংখ্য বাস্তব প্রমাণের মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারীধের সংগঠনে প্রবেশে বাঁধার দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছেন, বিতাড়িত করেছেন ছাত্রদল-শিবির থেকে ছাত্রলীগকে কলুষিত করতে ঢোকা বহু অনুপ্রবেশকারী।
যখনি স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী অশুভ শক্তি প্রিয় নেত্রীর বিরুদ্ধে কটাক্ষ করেছে, বিদ্রুপাত্মক স্লোগানে কলুষিত করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর আকাশ-বাতাস, আর কেউ নয়, রুখে দাঁড়িয়েছে সংগঠন ও নেত্রী অন্ত:প্রাণ গোলাম রাব্বানী। সৎ সাহস, প্রবল ইচ্ছা শক্তি আর দারুণ দক্ষতার সমন্বয়ে দুস্কৃতিকারীদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন, মানহানির মামলা করেছেন। সাহসী ও সময়োচিত পদক্ষেপ নিয়ে দেশজুড়ে তৃণমূলের লাখো ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর মন জয় করে আক্ষরিক অর্থেই নিজেকে প্রমান করেছেন শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হিসেবে।
যখনি রাজপথে বিএনপি-জামাত-ছাত্রদল-শিবির আন্দোলন এর নামে নিরীহ মানুষ হত্যার হলি খেলায় মেতেছে, অনৈতিক হরতাল অবরোধ এর নামে পেট্রোল বোমা আর ককটেল মেরে মানুষ পুড়িয়েছে, ছোট স্কুল শিশু-কলেজ ছাত্রের গায়ে আগুন দিয়েছে, অগ্নি স্ফুলিঙ্গ হয়ে জ্বলে উঠেছে গোলাম রাব্বানী, মুজীব সৈনিকদের সাথে নিয়ে রাজপথেই প্রতিরোধ গড়েছেন। চিহ্নিত দুষ্কৃতিকারীদের হাতেনাতে আটক করে পুলিশে দিয়ে পুরষ্কৃত হয়েছেন, পুরষ্কার লব্ধ সে অর্থ ফের দান করেছেন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে আগুনে পোড়া অসহায় মানবতার চিকিৎসার্থে।
যখনি কোন অসহায় গরীব অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় ভুগেছেনন, মেধাবী হয়েও পড়ালেখার খরচ যোগাড় করতে ব্যর্থ, তখনি নিজের ক্ষুদ্র সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করেছেন তাদের পাশে দাঁড়াতে। একদিকে যেমন নিজে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, অন্যদের অনুপ্রাণিত করেছেন পাশে দাঁড়াতে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক ছাত্রলীগের কোন কর্মী যখন বিপদগ্রস্থ, অন্যায়-নিগ্রহের নির্মম শিকার, তখনি বীরের ভুমিকায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তিনি, নিজের সবটুকু বিলিয়ে ভাই এর মতো পাশে থেকে উদ্ধার করেছেন আদর্শিক ভাইকে।
নির্যাতিত তৃণমূল কর্মীদের বিপদ থেকে উদ্ধারের সহায়ক ভূমিকা পালন করেছেন এমন বহু নজির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মারফৎ অবলোকন করেছেন সাধারণ কর্মীরা, নিজ কর্মগুণেই শ্রদ্ধা-ভালোবাসার ভাই হিসেবে মনে স্থায়ী আসন গেড়েছেন।
এমন বহু মানবতার নজির রয়েছে আমাদের সবার ভালোবাসার প্রিয়মুখ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আইকন, ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ গোলাম রাব্বানি ভাই এর।
পদে থাকলেও যার জন্য ভালোবাসা থাকবে অতুলনীয়, পদে না থাকলেও ভালোবাসা থাকবে অফুরান। কারণ, যার কর্ম দক্ষতা দরুন, আস্থার কাঁধে স্বয়ং মমতাময়ী নেত্রী শেখ হাসিনা মায়াময় হাত বুলিয়ে রেখেছেন। আমরা তৃণমূল নেতা-কর্মীরা বিশ্বাস করি, মন থেকে প্রত্যাশা করি, রোজ স্বপ্ন বুনি, ছাত্র-জনতার প্রিয় সংগঠন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মধ্যমণি করে আমাদের ভালোবাসার ‘গোলাম রাব্বানী’ ভাইকেই আবার আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেবেন শ্রদ্ধাভাজন অভিবাবকগণ।
সেই মাহেন্দ্রক্ষণ এর অধীর অপেক্ষায় সবাই।