নিউজ ডেস্ক :
রমজান এলেই বেড়ে যায় অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য। পণ্য মজুদ রেখে উচ্চ মুনাফা ভোগের আশায় কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয় নিত্যপণ্যের বাজারে। আর ভোগান্তিতে পরে ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনগোষ্ঠী।
ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের ভোগান্তি রোধে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা ছাড়াও ন্যায্যমূল্যে পণ্য জনগণের মাঝে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।
সে লক্ষ্যে ৬ মে রোববার থেকে সারাদেশে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ টিসিবি। সংস্থাটির বিক্রয়কেন্দ্র, পরিবেশক ও ভ্রাম্যমাণ ট্রাক থেকে বাজারদরের চেয়ে কম দামে পণ্য কিনতে পারছেন ক্রেতারা।
রাজধানীর বাজারে মাঝারি মানের মসুর ডাল ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়। একই মানের মসুর ডাল টিসিবি বিক্রি করছে ৫৫ টাকায়। বাজার দরের চেয়ে ৫ টাকা কমে টিসিবি প্রতি কেজি আখের চিনি ৫৫ টাকায় বিক্রি করছে। এ পণ্য দুটি একজন ভোক্তা একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৪ কেজি কিনতে পারছেন। বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১০৫ থেকে ১০৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই মানের প্রতি লিটার সয়াবিন তেল টিসিবির বিক্রেতার কাজ থেকে ৮৫ টাকা দরে সর্বোচ্চ ৫ লিটার পর্যন্ত কিনতে পারছেন ক্রেতারা। তবে বাজারদরের কাছাকাছি মূল্যে প্রতি কেজি ছোলা ৭০ টাকা দরে একজন ক্রেতার কাছে সর্বোচ্চ ৫ কেজি বিক্রি করছেন ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা। সংস্থাটির খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ এক কেজি খেজুর কেনার সুযোগ পাচ্ছেন।
১৮৪ ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে দেশব্যাপী এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকায় সচিবালয় গেট, ভিক্টোরিয়া পার্ক, নিউমার্কেট, মতিঝিল বক চত্বরসহ ৩২টি স্থানে ট্রাকে করে বিক্রি করা হচ্ছে। চট্টগ্রামে ১০টি ট্রাক, অন্যান্য বিভাগীয় শহরে ৫টি ও জেলা সদরে দুটি করে ট্রাকে পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া সংস্থার দুই হাজার ৭৮৪ ডিলার ও নিজস্ব ১০টি খুচরা বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম রমজান মাসজুড়ে চলবে।