নিউজ ডেস্ক ;
গত রবিবার সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ বি এম আজহারুল ইসলাম সুরুজের করা রিটের প্রেক্ষিতে ১৫ই মে অনুষ্ঠেয় গাজীপুর সিটির নির্বাচনের উপর স্থগিতাদেশ আরোপ করে হাইকোর্ট।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী হাসানউদ্দিন সরকারের বেয়াই এবং আস্থাভাজন বলে পরিচিত সুরুজ মূলত বিএনপি প্রার্থীর পরোক্ষ প্ররোচনায় ‘ইলেকশন গেম’ এর অংশ হিসেবে উক্ত রিটটি আদালতে দায়ের করে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়।
সোমবার দুপুরে বিএনপি প্রার্থী হাসানউদ্দিন সরকার তার ইলেকশন গেমের অংশ হিসেবে নির্বাচনের স্থগিতাদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন তিনি। এ যেন গাজীপুরবাসীকে গরু মেরে জুতা দান করার মত। মনোনয়ন পাবার পর থেকেই হাসানউদ্দিন নির্বাচনের জন্য প্ল্যান A এবং প্ল্যান B ঠিক করে রেখেছিলেন বলে গোপন সূত্রে জানা যায়। প্ল্যান A মোতাবেক হাসান উদ্দিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন তথাকথিত দুঃশাসনের গালগপ্প বলে ,প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুৎসা রটিয়ে এবং বিভিন্ন ধরণের প্রতিশ্রুতির প্রলোভন দেখিয়ে গাজীপুরবাসীর ভোট আদায় করার পরিকল্পনা করেছিল।
প্ল্যান A মোতাবেক নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে নগরবাসীর মন জয় করতে না পেরে এবং নির্বাচনে নিজের পরাজয় নিশ্চিত দেখে প্ল্যান B এর অংশ হিসেবে হাসানউদ্দিন সরকার তার ঘনিষ্ট সহচর বলে পরিচিত সুরুজকে দিয়ে হাইকোর্টে রিট করিয়ে গাজীপুর বাসীর ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। পরবর্তীতে স্থগিতাদেশের পরদিন সোমবার হাসানউদ্দিন হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের স্থগিতের আবেদন করে গাজীপুর বাসীর ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারের নাটক সাজিয়ে নগরবাসীর মন জয় করার চেষ্টা করে। বিএনপি প্রার্থীর প্ল্যান B এর সত্যতা সম্পর্কে স্থগিতাদেশের রিট আবেদনকারী সুরুজের বক্তব্য থেকে পাওয়া যায়। ২০১২ সালের সীমানা সংক্রান্ত একটা পুরাতন বিষয় নিয়ে এতদিন কোনো আইনি প্রক্রিয়া না চালালেও হঠাৎ করে তিনি কেন গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্বাচনের আগে রিট আবেদন করেন, এই প্রশ্নের উত্তরে আজহারুল ইসলাম সুরুজ কোনো সদুত্তর দিতে পারে নি। সুরুজ আমতা আমতা করে জানান তিনি মূলত বিএনপির সিনিয়র নেতা ব্যারিস্টার মওদুদের সহায়তায় তার ইউনিয়নের অন্তুর্ভুক্ত ৬টি মৌজায় নির্বাচন নিষিদ্ধ চেয়ে আবেদন করতে চেয়েছিলেন।
উল্লেখ্য আদালতের নির্দেশে ২০১৩ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় শিমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুরুজ এবং ঐ ৬টি মৌজার সাধারণ জনগণের উপস্থিতিতে সীমান্ত জটিলতার ব্যাপারটি নিষ্পত্তি করেই গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রজ্ঞাপন জারি করে উক্ত মন্ত্রণালয়।
বিএনপি প্রার্থীর রিট-রিট খেলার গোপন গোমর ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর থেকে বিএনপি প্রার্থী গাজীপুরে স্থানীয়ভাবে বিপাকে আছেন বলে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিএনপি প্রার্থীর দুরভিসন্ধিকে আইনিভাবে মোকাবেলা করে গাজীপুরবাসীর ভোটার অধিকার ফিরিয়ে দিতে আইনি লড়াই চালানোর নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত প্রার্থী জাহাঙ্গীরকে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ এবং আওয়ামী লীগের সিনিয়র আইনজীবীদের পরামর্শ এবং সহায়তায় আদালত কতৃক উক্ত নির্বাচনের উপর স্থগিতাদেশের উপর স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন জাহাঙ্গীর।