মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালী সোনাইমুড়ীর যুবসমাজ মাদকের রাহুগ্রাসে আক্রান্ত, চলছে হাট-বাজারের মত বেচাকেনা ! সোনাইমুড়ী উপজেলার প্রায় শতাধিক স্পটে এখন ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক ব্যবসা জমজমাট। এখানে প্রকাশ্যে চলছে মাদক ব্যবসা। এতে বিপদগামী হচ্ছে স্কুল, কলেজ পড়–য়া ছাত্র সহ স্থানীয় যুব সমাজ। ফলে এ পথ থেকে ছেলেমেয়েদের ফিরাতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়ছে অভিভাবকরা।
স্থানীয়রা সোনাইমুড়ী উপজেলাকে মাদকের নগরী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এ মরণ নেশা থেকে পরিত্রাণ পেতে অভিভাবকরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সূত্র জানায়, সোনাইমুড়ীর প্রায় শতাধিক ¯পটে ইয়াবা, গাঁজা, পেন্সিডিল ও বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য বেছাকেনা হচ্ছে। ¯পটগুলো হল, পৌর এলাকার সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস, ভানুয়াই গ্রামের তোফায়েল মিয়ার বাড়ীর পাশে তেতুল গাছের নিছে, জয়াগ বাজারের নাসিরের বাড়ী, মুটুবী মাজার, বিমান টাওয়ারের পাশে, জোড় পুল সংলগ্ন, বজরা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে, বজরা শাহী জামে মসজিদের পাশে, সোনাইমুড়ী রেল ষ্টেশন, রামপুর কলাবাগান বাংলাবাজার,আমকি, বাওকোট, মলংমুড়ী নামক স্থানসহ প্রায় শতাধিক স্পটে এখন ইয়াবা ও মাদক ব্যবসা চলছে জমজমাট।
স্থানীয়রা জানায়, মাদক ব্যবসায়ীরা কুমিল্লা জেলার লাকসাম থেকে সিএনজি ও রেল গাড়ী যোগে সোনাইমুড়ীর বিভিন্ন ¯পটে এসব মাদকদ্রব্য অভিনব কায়দায় আনা নেওয়া করে। পার্শ্ববর্তী কুমিল্লা জেলা সীমান্তবর্তী হওয়ায় সেখান থেকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে উপকূল বাস ও লোকাল ট্রেনে ইয়াবা, গাঁজা ও পেন্সিডিল আসে। উপজেলার বজরা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে আব্দুল গফুর মেম্বারের ছেলে সুমন ও মিলন প্রকাশ্যে মুদী দোকানের অন্তরালে মাদক বিক্রি করছে। ইতিপূর্বে থানা পুলিশ ও জেলা ডিবি পুলিশ কয়েকবার তাদের আটক করে। পরে তারা জামিনে এসে তাদের ব্যবসা শুরু করে হরদমছে।
এসব মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক বেচাকেনা করে অল্প দিনে গাড়ী বাড়ী ও বিপূল স¤পদের মালিক বনে গেছে। আবার কেউ কেউ অল্প দিনে বিপূল টাকার মালিক হয়ে একাধিক বিবাহ করছে। এ মাদক ব্যবসায়ীরা দিনের বেলায় ঘুমিয়ে থাকে। রাত হলে তারা বের হয়ে মাদক কেনাবেচা শুরু করে। দামী মোটরসাইকেলে চড়ে পার্শ্ববর্তী কুমিল্লা জেলার বিপুলাসার থেকে মাদক আনা নেওয়া করে বলে গোপন সূত্রে জানা যায়।
সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রতিটি মাসে উপজেলা আইন শৃঙ্খলা মিটিং এ মাদক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কথা উঠে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করছে। তিনিও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাদের সাজাও দিচ্ছেন। কিন্তু তা নির্মূল হচ্ছেনা।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার ইলিয়াস শরীফ জানান, তিনি এ জেলায় যোগদান করার পর তার অধীনস্থ ৯টি থানায় নির্দেশ দিয়েছেন মাদক ব্যবসায়ীদের কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করতে। এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।