সিটি নির্বাচনের আগেই হেরে গেলেন খুলনায় বিএনপি প্রার্থী মঞ্জুর!

নিউজ ডেস্ক :

খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজয় আসন্ন দেখে বিএনপি নেতারা নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ক্ষেত্র খুঁজছে বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছিলেন ‘বিএনপি তো নির্বাচনের আগেই হেরে যায়। তারা জনমত দেখে আঁচ করতে পারছে যে নির্বাচনে ভরাডুবি অনিবার্য। আর সেজন্য আগেভাগেই কারচুপির অভিযোগ আনার ক্ষেত্র তৈরি করছে। ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের দুদিন পরই ৩ মে সকালে

খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে সব ধরনের প্রচার স্থগিত করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

বিএনপি মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর ২ এপ্রিল রাত আটটা থেকে ৪ এপ্রিল ভোর পাঁচটা পর্যন্ত নগরজুড়ে পুলিশ ও ডিবির সদস্যরা তার নির্বাচনী প্রচারণায় জড়িত বিভিন্ন পর্যায়ের ১৯ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার ও নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহনকারীদের ভয়ভীতি দেখানোর প্রতিবাদে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা যায়। এসব ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা স্থগিত থাকবে।

তবে সরেজমিন এলাকা পরিদর্শনে জানা যায় ডিবি থেকে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি এবং প্রচারাভিযানে কোন বাধা দেয়া না হলেও ২ মে রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ এমন পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে যাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা আছে। আর এটি পুলিশের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। এর সাথে নির্বাচনের কোন সম্পর্ক নেই। এ প্রসঙ্গে খুলনা সিটিতে বসবাসরত একজন সাধারন ব্যবসায়ী বলেন,নির্বাচনের কারনে যদি পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করা বন্ধ করে তবেতো এসময়টা অপরাধীদের জন্য “গোল্ডেন টাইম” হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।

খুলনা সিটির অনেকেই বলছেন বিএনপির দলীয় কোন্দল জামায়াতের মৌখিক সমর্থন থাকলেও মাঠে না থাকার কারনে নির্বাচনে পরাজয়ের সম্ভাবনা তৈরী হওয়ায় বিএনপি পরিস্থিতি ঘোলা করে মুলত নির্বাচন বর্জনের দিকেই অগ্রসর হলো। একারনেই কোন কারন ছাড়াই নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করতে কর্মসূচি পালন করার ঘোষনাও দিয়েছে বিএনপি। ৬ মে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)এর খুলনা সফরের আগে এসব কার্যক্রম বন্ধ না করা হলে তাঁর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বর্জন করবে এবং প্রয়োজনে সরকার ও সিইসিকে কালো পতাকা প্রদর্শন করা হবে বলেও জানা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *