রাজনীতির হলুদ কার্ড লাল কার্ড বৃত্তান্ত | বাংলারদর্পন

নিউজ ডেস্ক :

বাংলাদেশের রাজনীতিতে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে কঠিন সময় পার করছে ক্যান্টনমেন্ট থেকে জিয়ার হাত ধরে জন্ম নেওয়া বিএনপি। দলীয় কোন্দল এবং নেতৃত্ব শূন্যতায় বিএনপি এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিলুপ্ত হওয়ার আশংকায় আছে বলে মনে করেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনীতিতে একটা সময় কথার ফুলঝুরি দিয়ে অনেকখানি প্রভাব বিস্তার করা যেত।কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তিগত গত উন্নয়ন এবং সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমের ব্যাপক প্রসারের ফলে শুধু মাত্র কথার ফুলঝুঁড়ি রাজনৈতিক অবস্থান শক্ত করা যায় না।

বিএনপিকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা ঘরোয়া পরিবেশে বিভিন্ন সভা সেমিনার কিংবা সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ।দলীয় ঐক্য না থাকায় রাজপথে বিএনপি নিষ্ক্রিয়প্রায়। সাম্প্রতিক সময়ে গাজীপুর এবং খুলনা সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির পক্ষ থেকে দেওয়া রাজনীতির হলুদ কার্ড লাল কার্ড সম্পর্কিত বক্তব্য নিয়ে কিছুটা সরগরম রাজনৈতিক অঙ্গন। মূল বক্তব্য ছিল অনেকটা এরকম যে আসন্ন দুই সিটি নির্বাচনে সরকারকে বিএনপি হলুদ কার্ড এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে লাল কার্ড দেখিয়ে চুড়ান্ত পতন ঘটাবে।

বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যাপক প্রসার, ইলেক্ট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ার নজিরবিহীন অবাধ স্বাধীনতার বদৌলতে বাংলাদেশের জনগণ পূর্বের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক সচেতন। গত দুই টার্ম ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সকারের যাবতীয় কর্মকান্ড সম্পর্কে সাধারণ জনগণ ওয়াকিবহাল রয়েছে। উল্লেখযোগ্য কিছু বড় বড় উন্নয়নমূলক প্রজেক্ট বাস্তবায়নের কার্যক্রম হাতে নেওয়ার দরুন আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে রাজনৈতিক ভাবে বেশ সুবিধাজনক অবস্থায় আছে। বর্তমানে চলমান থাকা কিছু প্রজেক্ট নিয়ে দেশে এবং দেশের বাইরের বিভিন্ন বাধা বিপত্তির মুখে বাস্তবায়ন করাটা অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য।বিশেষ করে পদ্মা সেতু নির্মাণে বিদেশী সংস্থা গুলো অর্থায়ন করা থেকে বিরত থাকায় শেখ হাসিনার সরকারে জন্য পদ্মা সেতুর কার্যক্রম শুরু করাটা সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের পথে।

অবাক হলেও সত্য রাজনৈতিক ভাবে বিএনপি বর্তমান বাংলাদেশের জনগণের মনের ভাষা পড়তে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন কথার ফুলঝুঁড়ির চাইতে দেশের উন্নয়নে জন্য করা পরিকল্পনা এবং সেগুলো বাস্তবায়নের সদিচ্ছার দিকেই নজর দেয়। সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেও একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের জন্য নির্দিষ্ট কোনো এজেন্ডা কিংবা পরিকল্পনা বিএনপি জনগণের সামনে তুলে ধরতে পারেনি। বিএনপি তথাকথিত ঘরোয়া পরিবেশে আন্দোলনেই ব্যস্ত সময় পার করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *