এতিমকে সহযোগীতা করতে গিয়ে অপপ্রচারের শিকার ছাত্রলীগ নেতা ইফতেখার

ফেনী প্রতিনিধি :

এতিমের জন্য সনদ চাইতে গিয়ে ফেনীর সোনাগাজীতে বেকায়দার পড়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগ  সাধারন সম্পাদক  ইফতেখার হোসেন খন্দকার। গত রোববার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কাছে এক হতদরিদ্র এতিমের জন্য সনদ সংগ্রহ করতে যান। সমাজসেবা কর্মকর্তা সনদ দেয়ার এখতিয়ার নেই বললেও ইফতেখার বার বার অনুরোধ জানান।

 

প্রত্যক্ষদর্শী ও সমাজসেবা কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রবিবার আমিরাবাদ ইউনিয়নের আবু বক্কর নামের এক শিশুর জন্য এতিম সনদ নিতে সমাজসেবা কর্মকর্তা নাছির উদ্দিনের কাছে আসেন উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ইফতেখার হোসেন খন্দকার। কর্মকর্তা সনদ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ও ইফতেখার বার বার বলতে থাকে- সমাজের এতিমদের সনদ সমাজসেবা অফিস দিতে না পারলে কে দিতে পারবে।

 

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ইউনিয়ন সমাজসেবা সহকারী মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বিষয়টি কথা বার্তায় সীমাবদ্ধ। এটিকে রং রুপ দিয়ে লাঞ্চিত বলে চালিয়ে দেয়া কার্যালয় ও কর্মকর্তার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা।

 

কার্যালয়ে ভাতা সংক্রান্ত কাজে আসা মুক্তিযোদ্ধার নাতি কামরুল ইসলাম অপু বলেন, সমাজের উপকার করতে গিয়ে যদি নিজেই বেকায়দায় পড়তে হয়, তবে সমাজ সেবায় কেউ এগিয়ে আসবে না।

 

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সৈয়দ নাসির উদ্দিন বলেন, ঘটনার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন। নিজের স্বার্থের জন্য নয়, একজন এতিমের সাহায্যের জন্য ছাত্রনেতা ইফতেখার যেভাবে এগিয়ে এসেছে এটা সমাজের জন্য আদর্শ। ইফতেখারের কথার ধরনই উচ্চস্বরে। এটিকে লাঞ্চিতের দিকে ঠেলে দেয়া সত্যিই উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও সম্মানহানীকর।

 

জানতে চাইলে সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার হোসেন খন্দকার বলেন, নিরীহ এক এতিম শিশুর উপকারে সমাজসেবা কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। সমাজসেবা কর্মকর্তা সমাজের যেকোন এতিমের সনদ দিতে পারে বলে আমার ধারণা ছিলো। তাই সমাজসেবা অফিসারকে একজন সহায় সম্বলহীন এতিমের উপকারের জন্য বার বার অনুরোধ করলেও তিনি এখতিয়ার বহিভূত বলে অপারগতা প্রকাশ করেন।  লাঞ্চিতের ঘটনাটি উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও কল্পনা প্রসুত।

 

সোনাগাজী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন জানান, এতিম সনদ দেয়ার এখতিয়ার তার নেই। বিষয়টি বারবার বলার পরও ইফতেখার তাকে বার বার অনুরোধ করতে থাকে। তিনি দু:খ করে বলেন প্রকাশিত লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনাটি কাল্পনিক ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। প্রকৃত সত্য হলো- একজন বেসরকারী এতিমের জন্য একটি সনদের অনুরোধ নিয়ে ইফতেখার আসে। আমি নীতিমালা বহিভূত বলে জানাই, সনদ দেয়ার এখতিয়ার আমার নাই। সে বার বার একই কথা নিয়ে অনুরোধ জানায়। পরে সনদ দিতে না পারলে সে চলে যায়। অতি রঞ্জিত সংবাদ প্রকাশ করায় তিনি প্রতিবাদ জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *