চট্টগ্রাম ব্যুরো : প্রাণের টানে পায়ে হেঁটে রাউজানের ঘরে ঘরে’ যাবেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। সোমবার (১৬ এপ্রিল) সকাল নয়টায়,চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের গহিরা ইউনিয়ন থেকে ব্যতিক্রমী এ কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম,রাত্রিযাপন,হলদিয়া ইউনিয়নে।
জন প্রতিনিধির পায়ে হেঁটে রাউজান ভ্রমণের এ কর্মসূচিকে ঘিরে সাজ সাজ রব উঠেছে পুরো উপজেলায়।পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি রুটম্যাপ অনুযায়ী সড়ক ও আশপাশের এলাকা সাজছে গোলাপি (পিংক) রঙে। এক হাজার নেতা-কর্মীর জন্য বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবিযুক্ত গোলাপি রঙের বিশেষ কটি (পোশাক) তৈরি করা হয়েছে। তাদের জন্য থাকছে স্পেশাল কার্ড, যা ঝোলানো থাকবে গলায়। মাথায় থাকবে একই রঙের ক্যাপ।
পায়ে হেঁটে রাউজান ঘুরে দেখা কর্মসূচি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি বাংলাদর্পন কে বলেন, ২৪৩ কিলোমিটার আয়তনের একটি সংসদীয় আসনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি মনে করেছি এতগুলো বছরে এলাকায় যে উন্নয়ন করেছি তা দেখা। মানুষ আর কী কী চায় এবং তাদের সুখ-দুঃখের কথা শোনা। আমার ইচ্ছে আছে ডোর-টু-ডোর যাওয়া। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের আমলের যে উন্নয়ন সেগুলো তুলে ধরা। পাশাপাশি সরকারি উন্নয়নকাজ সঠিকভাবে হয়েছে কিনা সেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করব।
‘আমরা ২০১৭ সালে রাউজানে ৪ লাখ ৮৭ হাজার ফলদ চারা রোপণ করেছি। এর আগেও প্রতিবছর চারা রোপণ করেছি সেগুলো দেখভাল করব। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিদিন ২৪ হাজার টাকা গাড়িভাড়া দিয়ে ১৮৩ বিদ্যালয়ের ২২ হাজার শিক্ষার্থীকে টিফিন করাচ্ছি, সেই কার্যক্রম সরেজমিন দেখব। আমাদের কৃষকরা, মৎস্যচাষিরা পাহাড়ি ঢলে বার বার ক্ষতির মুখে পড়েছিল। আমি নিজে ৬ টন ধানবীজ, স্প্রে মেশিন কিনে দিয়েছি। অনেক অসচ্ছল নারীকে সেলাই মেশিন দিয়েছি। রোগীদের হুইল চেয়ার দিয়েছি। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি। তাদের খোঁজখবর নেব।’ যোগ করেন এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রতি দিন সকাল নয়টায় হাঁটা শুরু করব। জনসংযোগ করতে করতে এগোবো। রাতে ত্রিপল টাঙিয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সময় কাটাব, বিশ্রাম নেব, আলোচনা করব। সব মানুষ যাতে খেতে পারে সে জন্য রাতের বেলা মুরগির মাংস দিয়ে আলু, সবজি, ডাল আর সাদা ভাত খাওয়ানো হবে।
‘পিংক-গ্রিন-ক্লিন’ রাউজান দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে জানিয়ে এবিএম ফজলে করিম বলেন, রাউজানে মাস্টারদা সূর্য সেনের যে ভিটি আছে, ভাস্কর্য আছে, আদ্যাপীঠ আছে, মহামুনি আছে, নবীন সেন কমপ্লেক্স, ডাকবাংলো, হালদা নদী আছে, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) আছে, রাবার বাগান আছে। সম্প্রতি ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি মাস্টারদা সূর্য সেনের ভিটি পরিদর্শন করে গেছেন। প্রতিদিন প্রচুর পর্যটক আসেন। সব মিলে ব্যাপক পর্যটন সম্ভাবনা আছে।