ফেনী প্রতিনিধি:
ফেনীতে নিজস্ব ডাক্তার ও দক্ষ টেকনেশিয়ান না থাকাসহ নানা অপরাধে চারটি প্রাইভেট ক্লিনিকি ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা অর্থদন্ড (জরিমানা) করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালত ফেনী শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়গনষ্টিক সেন্টারে অভিযান চালায়। এসময় দুই ল্যাব সহকারীকে আটক করা হয়।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজেষ্ট্রেট সোহেল রানা জানান, নিজস্ব চিকিৎসক ও দক্ষ টেকনেশিয়ান না থাকায় ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে চিকিৎসা সেবা প্রদানের অভিযোগে বুধবার দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। চুক্তিবিহীন ডাক্তার ও পর্যাপ্ত ডাক্তার-নার্স না থাকায় এসময় শহরের দাউদপুর এলাকায় ‘ফেনী জেনারেল প্রাইভেট হাসপাতাল’কে দুই লাখ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন। সনদ না থাকায় ওই ক্লিনিকের অহিদুল হাসান (৩৩) ও মোহাম্মদ ইলিয়াস (৩২) নামে দুই ল্যাব সহকারীকে আটক করা হয়।
একই অভিযোগে ‘রয়েল হাসপাতাল’র পরিচালক মাহতাবুল রশিদকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, মহিপাল এলাকার ‘মহিপাল ডায়াগনষ্টিক সেন্টার’র প্যথলজিষ্ট না থাকায় ম্যানেজার গনেশ চন্দ্র দাসকে দুই লাখ টাকা অর্থদন্ড, ও ‘মর্ডাণ সেন্ট্রাল হাসপাতাল’ এ ব্যবহৃত রক্ত ফ্রিজে রাখার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে এক লাখ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন।
এদিকে ফেনী বড় বাজারের তাকিরা রোডে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের খবর পেয়ে ট্রাক ভর্তি ভেজাল সয়াবিন তেল রেখে পালিয়ে যায় চালক ও সকারী (হেলপার)। এসময় ৩০টিন ভেজায় সয়াবিন তেল জব্দ করে ভ্রাম্যমান আদালত।
দুই কুরিয়ার সার্ভিসকে জরিমানা, ফেনীতে সার্ভিস চার্জের তালিকা না থাকায় এসএ পরিবহন ও সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রানু আরা খাতুনের নেতৃত্বে ভোক্তা অধিকার আইনের আওতায় পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত শহেরর শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কে অবস্থিত ‘এসএ পরিবহন’কে ২০ হাজার টাকা ও ‘সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস’কে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে। এসময় ভ্রাম্যমান আদালত এসব প্রতিষ্ঠানে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সার্ভিস চার্জের তালিকা লাগানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসলিমা আক্তার ও ফেনী পৌরসভার স্বাস্থ্য পরিদর্শক কৃষ্ণময় বণিক উপস্থিত ছিলেন।