গিয়াস উদ্দিন রনি, কোম্পানীগঞ্জ নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ত্রিভুজ প্রেমের রহস্য। অতঃপর কিশোরী কলেজ ছাত্রীকে ৭ মাসের অবৈধ গর্ভপাত ঘটানোর,অভিযোগ উঠেছে। গর্ভবতী কিশোরীর বাড়ির লোকজনের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত মার্চের ১৯ তারিখ রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে এ গর্ভপাত ঘটানো হয়। উপজেলার চরকাঁকড়া ইউপিতে এ ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ এই ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে,এলাকাবাসী এর তীব্র নিন্দাও প্রতিবাদ জানান।
অভিযুক্ত ছেলের সূত্রে জানা যায়, অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়ার ৭ মাসের মাথায় এ কিশোরীর বাড়ির উঠানে,গত ৬এপ্রিল শনিবার রাত ৯টায় সালিশী বৈঠক বসে,ওই বৈঠকে একই বাড়ির ছেলে সাদ্দাম,কিশোরীর মা ও কিশোরীকে ১০টি করে বেত্রাঘাত করে,এ ঘটনার বিচার করা হয়। সালিশদার অভিযুক্ত ছেলেকে ১৫ দিনের মধ্যে বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। না হলে ছেলের পরিবারকে একঘরে করার হুমকি দিয়েছে কথিত মাতম্বর সালিশদার খাঁন মেম্বার। তবে কিশোরীর মা বেত্রাঘাতের কথা এ প্রতিবেদকের কাছে অস্বীকার করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,এ কিশোরীর সাথে সাদ্দাম সহ আরো ২জন ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সাদ্দাম এ প্রতিবেদকে নিশ্চিত করে তার সাথে কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে রুপ নেয়। অন্য প্রেমিকদের বাপ্যারেও সে একই ধারণা পোষণ করে। সাদ্দাম আরো জানায়, তবে এ বাচ্চা আমার নয়। সাদ্দামের বাড়ির লোকজন দাবি করেন,তার ব্যক্তিগত চরিত্রও ভালো নয়। সে আরো জানায় তার সাথে কিশোরীর কোরআন শপথ করে আংটি পরিয়ে মৌখিক ভাবে বিবাহ হয়।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, ছেলে বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর সাথে ১০লক্ষ টাকা কাবিনে বিবাহ হবে সামাজিকভাবে ভাবে এমন উদ্যোগে গ্রহণ করা হয়। ছেলের পরিবার তাতে সম্মতি প্রকাশ করে। কিন্তু কিশোরীর এবং তাঁর মায়ের অসম্মতিতে অবশেষে বিয়ে হয়নি। উল্টো কিশোরীর মা তার কন্যাকে ৭মাসের সময় গর্ভপাত ঘটায়।
কিশোরীর বাড়ির লোকজন সূত্রে জানা যায়,তারা একই বাড়ির এবং দূর সম্পর্কের চাচা ভাতিজি।
স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ উঠেছে,সালিশদার ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য খাঁন মেম্বার এ ঘটনার প্রধান সালিশদার। সালিশ পরবর্তি ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অজুহাতে কৌশলে ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন সালিশদার খাঁন মেম্বার। অভিযোগ সূত্রে খাঁন মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করলে,তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে তিনি স্বীকার করেন, গর্র্ভপাতের কথা শুনে, ওই দিন রাতে কিশোরীর ঘরে গিয়েছিলেন খোঁজখবর নিতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাড়ির লোকজন সূত্রে জানা যায়, কিশোরীর অবৈধ গর্ভপাত করে উপজেলার পেশকার হাট বাজারের পল্লী চিকিৎসক স্বপন। এ সময় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলে অবৈধ গর্ভপাত ভেড়েছ,এবং অবৈধ গর্ভপাতের কারিগর হয়ে দাঁড়িয়েছে এ পল্লী চিকিৎসক স্বপন ওরফে ডা.স্বপন। অভিযোগ সূত্রে পল্লী চিকিৎসক স্বপন এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে,তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং নিজেকে নিঁখুত দাবি করেন।
এ প্রতিবেদক কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে তাদের বাড়ির লোকজনের উপস্থিতিতে তার মায়ের সাথে আলাপ করলে কিশোরীর মা জানান, আমরা কোন কথা বলতে পারবোনা। আমাদের এ ঘটনা মিটমাট হয়ে গেছে। তিনি আরো জানান,আপনি কথা বলার থাকলে খাঁন মেম্বাররের সাথে কথা বলুন। এ বিষয়ে কিশোরীর বক্তব্য চাইলে তার পরিবাররের অস্বীকৃতিতে কিশোরীর বক্তব্য পাওয়াযায়নি।