নিউজ ডেস্ক : একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের হয়রানী, অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে বৈরুত রাষ্ট্রদূত এর পদত্যাগ দাবি জানিয়ে ভুক্ত ভুগী প্রবাস ফেরত বাংলাদেশী ও লেবাননের জেল হাজতে আটক প্রবাসীর সজনরা আজ মঙ্গলবার বেলা ১১:৩০মিঃ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটে সংবাদ সম্মেলন করেন।
বাংলাদেশ দূতাবাস বৈরুত এর রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকারের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ এনে বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের লেবানন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা কর্মীরা প্রতিবাদ জানান যে, দূতাবাস বৈরুত এর অবৈধ কর্মী বাংলাদেশে পাঠানোর কর্মসূচীর আওতায় দেশে ফেরৎ বাবদ প্রতি জনের কাছ থেকে $৩৫০(তিনশত পঞ্চাশ) ইউ এস ডলার করে নেওয়া হয়েছে। যেখানে বৈরুত টু ঢাকা এয়ার এরাবিয়া বিমান এর টিকিটের মূল্য ১৭০-১৮০ ইউএস ডলার মাত্র। অসাধু দূতাবাসের ক্যাশিয়ার মোবাশ্বের রহমান এর যোগসাজসে রাষ্ট্রদূত সাধারণ প্রবাসীর এই টাকা আত্মসাৎ করেছে।
পাশাপাশি জব কন্ট্রাক্ট এর টাকা প্রতি সপ্তাহে আত্মসাৎ করা হচ্ছে। জব কণ্ট্রাক্ট এর টাকার পরিমান প্রতি মাসে মিনিমাম $১০,০০০/-(দশ হাজার) ইউএস ডলার, প্রায় ৪,০০০ (চার হাজার) প্রবাসী থেকে $১৪,০০,০০০ (চৌদ্দ লক্ষ) ইউএস ডলার। এর মধ্যে $৭,০০,০০০ (সাত লক্ষ) ইউএস ডলার দুর্নীতি হয়েছে যা বাংলাদেশী টাকায় ৫ কোটি ৬০লক্ষ টাকা। বিশেষ কথা হলো সাধারণ প্রবাসীরা যে টাকা জমা দিয়েছে সেই টাকা কষ্টার্জিত অর্থ।
এই অর্থের দূর্নীতি দূর্নীতির শীর্ষ বলে অভিহিত করা যায়। এবং দূতাবাসের নিয়োগের ক্ষেত্রে দিদারুল আলম ও মোহাম্মদ মামুন প্রত্যেকের কাছ থেকে ৬,০০,০০০/- (ছয় লক্ষ) টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন। দূতাবাসের চাকুরীর সময় উনার মতের বিরোধীতা করায় তাদেরকে চাকুরীচুত্য দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন। ভিসা কন্ট্রাক্ট বা সত্যায়িত ও ভিসার বাজার নিজস্ব সিন্ডিকেট দ্বারা পরিচালিত করে প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। যার ফলে বিরূপ প্রভাব পড়েছে লেবাননে আসতে ইচ্ছুক বাংলাদেশী কর্মীদের উপর।
ওয়েলফেয়ারের টাকা কোন প্রকার অসহায় রোগী বা অসুস্থ্য প্রবাসীরা পাচ্ছে না। বিভিন্ন অজুহাতে টাকা আত্মসাৎ করে যাচ্ছে।
এমনকি জাতীয় দিবসগুলিতে নাম মাত্র অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, রাষ্ট্রদূত সাহেব বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বলেন আপনাদের মন্ত্রী অর্থাৎ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী এসেছিলেন লেবাননে। আপনাদের জন্য কিছুই করতে পারেন নাই। এমনকি সরকারও কিছু করতে পারে নাই। যা কিছু করেছি সবকিছু আমার চেষ্টায়। বর্তমান সরকার বিরোধী একজন রাষ্ট্রদূত এর পূর্ব প্রমাণেও পাওয়া গেছে, মোতালেব সরকার সাহেব যখন শেরেবাংলা কৃষি কলেজে শিক্ষক ছিলেন, তখন তিনি সক্রীয়ভাবে জামায়াত ইসলামের রাজনীতি করতেন। উনার রোকন নম্বর ছিল-১২৩৮।
এসকল অনিয়মের প্রতিবাদের ফলে রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকার তার ক্ষমতার অপব্যবহার এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সরকার গঠিত সংগঠন এর লেবানন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি সংগঠনে দীর্ঘদিন প্রবাসরত কর্মজীবী ব্যবসায়ী নেতা কর্মীদের উপর অমানবিকতা চালিয়ে পদবিন্যাস ক্রমে আটক করে দেশে পাঠিয়ে দেন এবং উচ্চ পদস্থ নেতা কর্মী যারা ঢাকার সেন্ট্রাল কর্তিত যোগাযোগ পূর্ণ তাদের আটক করে ভিবিন্ন মিথ্যা মামলা হামলায় জরিয়ে লেবানন পুলিশ কর্তৃক অমানবিক নির্যাতনে আটকে রাখা হয়েছে।
এমন কি তাদের আইনগত কোন সহায়তা প্রদানকারী বা দেশে ও সংগঠনের মাধ্যম যোগাযোগ টুটুও করতে দেওয়া হচ্ছেনা।