নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মিজান হত্যার বিচার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ছোট বোন সাংবাদিক আফরোজা সুলতানা। ৯ এপ্রিল সোমবার সকালে ক্রাব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবী করেন, ৩ পুলিশ কর্মকর্তার সহযোগীতায় হত্যার ঘটনাটি ভিন্ন দিকে নেয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তিনি লিখিত বক্তব্যে অারও বলেন,
তার একমাত্র ভাই মিজানুর রহমান মিজান এর নির্মম হত্যার ন্যায্য বিচার এর দাবী করায় জীবন আজ খুনিদের হাতে জিম্মি । ভাই হত্যার বিচার চাইতে এসে প্রতিটি মুহূর্তে খুনিদের ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করে বর্তমান জীবন কাটছে। । বরিশালের বিমানবন্দর থানার ৩ পুলিশ কর্মকর্তা ৩ কোটি টাকার বিনিময়ে নিস্পাপ ভাই কে খুন করে । খুন করার পরে ভাই এর সুরতহাল রিপোর্ট করেনি , ময়না তদন্ত করেনি ,তিনি নিজে বাদী হয়ে মামলা করার পরেও ওই ৩ পুলিশ কর্মকর্তা (প্রাক্তন ডি সি জিল্লুর রহমান , প্রাক্তন ও সি সাহেদ ও প্রদীপ মিত্রা তদন্ত কর্মকর্তা ) । তাকে কোন সাহায্য করে নি , হত্যা মামলায় নিম্ন আদালত ( ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ) সুরাতাল রিপোর্ট ও ময়না তদন্তের আইনগত পারমিশন দিলেও ১০ দিন আইনগত সকল কাজ বন্ধ করে , খুনিদের সাথে হাত মিলিয়ে কোটি টাকার বিনিময়ে সুরাতাল রিপোর্ট ও ময়না তদন্ত ছাড়া একেবারে ফাইনাল রিপোর্ট দেয় আদালতে।
কোন আইনে আছে বাদীর পারমিশন ছাড়া হত্যা মামলার সুরতহাল রিপোর্ট ও ময়না তদন্ত ছাড়া মামলার ফাইনাল রিপোর্ট করে এবং তা গ্রহণ করে ম্যাজিস্ট্রেট। জাতীর বিবেকের কাছে প্রশ্ন, পুলিশ এর এত ক্ষমতা সাহস কই থেকে আসে ? কে দিছে তাদের এই অবৈধ কাজের ক্ষমতা ? এই পুলিশদের তিনি হাত পা ধরে ৬ টা ফ্যক্স করছিলেন প্রাক্তন ডি সি এর বরাবরে । তিনি বলেন অভিযোগের টাইম ওভার আর কোন কথা বলার সুযোগ পাবেন না । আর চরম দুর্ব্যবহার করে তদন্ত কর্মকর্তা , ডিসি এবং ওসি। ওই পুলিশের গায়ের পোশাক আমাদের রক্তের টাকার , ওই পুলিশের চাকরি আমাদের রক্তের ঘামের বিনিময় , ওই ডিসি অফিস .,ওই থানা, ওই আদালত, আমাদের বুকের জমিনের উপর , আমাদের রক্তের বিনিময় অর্জিত দেশের জমিনে । আমার চীৎকার হাহাকার আর্তনাদ ওই থানা , ডি সি অফিস , ও সি ,তদন্ত কর্ম কর্তা , ডি সি ,আদালত এর কাছে পৌছায়নি ।
মিজান হত্যা মামলা মামলা নং-৩, তাং-৩-২-২০১৫ইং, বিমানবন্দর থানা, জি,আর কোর্ট মামলা নং-৩১৫) এর প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট ৮-২-২০১৫ইং তারিখে ভিকটিমের লাশ কবর থেকে উত্তোলনের আদেশ দিলেও , তা না করে থানা পুলিশ পেশাধারী খুনিদের দ্বারা বিভিন্নভাবে প্রভাবিত হয়ে , মাদক ও মিথ্যা মামলার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে এবং হত্যার হুমকি দিয়ে আমার সাক্ষীগণ দেরকে।
তার বাবা-মা ও নিহত ভাইয়ের বউকে দিয়া খুনিদের অস্রের মুখে শিখানো বুলি হিসেবে ১১-৩-২০১৫ইং তারিখে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি রেকর্ড করায়। । দায়সারা তদন্ত করে আসামীদরে সাথে হাত মিলিয়ে তাকে নেশাখোর ও পাগল হিসেবে ঘোষণা দেয়। মামলাটির ফাইনাল রিপোর্ট দিয়া দেয় থানা পুলিশ ।পরে জজকোর্টে না রাজী দিলেও অজ্ঞাত কারণে ও খুনিদের অপতৎপরতায় তাও গ্রহণ করেনি বিজ্ঞ আদালত ।
এই পরিস্থিতিতে ন্যায় বিচারের আসায় তিনি মহামান্য হাইকোর্টে সুপ্রিম কোর্ট বিভাগের ক্রিমিনাল মিস কেস নং-১৬৫৪০/২০১৬ দায়ের করেন।
তিনি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানন্ত্রী,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের আইজিপি ও কমিশনার মহোদয়ের কাছে একমাত্র ভাই হত্যার বিচার ও হত্যারকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান।