নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগকে দুর্নীতির মহাবিদ্যালয় বলে বক্তব্য দিয়ে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী কঠোর সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন। তার প্রতিহিংসাপূর্ণ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যবহারকারীরা সমালোচনায় মেতে ওঠেন। তারা বলছেন, বিএনপি নেতারা প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে কেবল অন্যের দোষ না খুঁজে যদি নিজেদের দোষগুলো খুঁজে শুধরে নিতেন তাহলে হয়তো জনসাধারণের সমর্থন পেতে পারতেন। দুর্নীতির দায়ে এখনো বিএনপি চেয়ারপারসন কারাদণ্ড ভোগ করছেন অথচ তারাই আবার অন্যদের দুর্নীতির তকমা দিচ্ছেন।
একজন লিখেছেন, যদি আওয়ামী লীগ দুর্নীতিতে মহাবিদ্যালয় হয় তবে বিএনপিতো সে তুলনায় অক্সফোর্ড।
৪ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দেয়া রিজভীর ওই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার মুখে পড়ে।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে বিদেশ থেকে এতিমদের জন্য ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা নিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে দুর্নীতিতে শীর্ষে থাকা লন্ডনে নির্বাসিত দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ও বর্তমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত প্রধান তারেক রহমানও একই মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন।
তবে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এই প্রথম নয়। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মোট ৩৭টি মামলা রয়েছে। যেগুলোর মধ্যে ৪টি বড় ধরনের দুর্নীতি মামলা। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, গ্যাটকো, নাইকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতির মামলা। এছাড়া দুর্নীতির আখড়া হিসেবে খ্যাত হাওয়া ভবনের কথা তো সবারই জানা।
ফলে দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ বিএনপির অভ্যন্তরে একাধিক নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ও প্রমাণ থাকলেও সেদিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে অন্য দলকে দুর্নীতিগ্রস্ত না বলে নিজেদের শুধরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের অনেকেই।