বিউটির ‘ধর্ষক ও খুনি’ বাবুল মিয়া গ্রেপ্তার

 

ডেস্ক রিপোর্ট :

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে স্কুলছাত্রী বিউটি আক্তারকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাবুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার ভোর ৫টার দিকে বিয়ানীবাজার এলাকা থেকে বাবুলকে আটক করা হয় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৯-এর পরিচালক ক্যাপ্টেন মনিরুজ্জামান।

এর আগে বাবুলের শ্বশুর আব্দুল কাদির (৫০), খালা জহুর চাঁন বিবি (৬০) ও খালাত বোন ঝুমা আক্তারকে (২০) আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য ফরিদ মিয়ার জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।

বিউটিকে গত ২১ জানুয়ারি তুলে নিয়ে যায় একই গ্রামের বাবুল মিয়া। অপহরণের পর বিউটিকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় ১ মার্চ বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল ও তার মা ইউপি সদস্য কলম চাঁনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করেন।

মামলার পর হামলার ভয়ে সায়েদ আলী ১৬ মার্চ বিউটিকে লাখাই উপজেলার গুনিপুর গ্রামে নানার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। তবে ওই রাতেই সেখান থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন বিউটি।

পরের দিন ১৭ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টায় শায়েস্তাগঞ্জের পুরাইকলা বাজার সংলগ্ন হাওর থেকে বিউটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। অভিযোগ, অপহরণের পর দ্বিতীয় দফা ধর্ষণের শিকার হন বিউটি।

এ দিনই বিউটিকে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে তার বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল মিয়াসহ দুইজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

মামলার পর ২১ মার্চ বাবুলের মা কলম চাঁন ও সন্দেহভাজন হিসেবে একই গ্রামের ইসমাইলকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু মূলহোতা বাবুলকে তখনো আটক করতে পারেননি পুলিশ সদস্যরা।

বৃহস্পতিবারই হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ স ম শামছুর রহমান ভূঁইয়াকে প্রধান করে এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *