দক্ষিন সুনামগঞ্জ হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মানে অনিয়ম, নির্দিষ্ট মেয়াদে শেষ হয়নি কাজ

 

মো.নাইম তালুকদার : দক্ষিণ সুনামগঞ্জ :

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় হাওর রক্ষা  বাঁধ নির্মাণ কাজের মেয়াদ শেষ হলেও শেষ হয়নি বাঁধের  কাজ।

ফলে অত্র উপজেলার প্রায় ২২ হাজার হেক্টর জমি হুমকির মুখে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নীতিমালা অনুযায়ী, ২৮ ই ফেব্রুয়ারি কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো অনেক হাওরে বাঁধের কাজ শেষ হয়নি । কিছু কিছু জায়গায় অদ্য কাজ শুরু হয়েছে।

শুক্রবার সকাল থেকে  দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার হাওর অঞ্চলে সরেজমিনে গিয়ে ঘূরে দেখা যায়, সাংহাই হাওর ,জামখালা,রাঙ্গামাটিয়া,উথারিয়া মহাসিং  কাচিবাঙ্গা, সিফতখালী খাই হাওর সহ-অনেক জায়গায় এখন ও বেড়িবাঁধের কাজ শেষ হয়নি। অনেক হাওরে বাঁধের মূল গোড়া থেকে মাটি উত্তোলন করে বাঁধ নির্মান কাজ করছে পি আইসি রা। সাংহাই হাওরে  গেল বছরের পুরাতন মাটিকে কোন মতে পরিপাটি করে বাঁধের উপর দিয়েছে । ফলে হাওর পাড়ের  মানুষনের মনে আতংক বিরাজ করছে। অনেক কৃষকদের মতে বৃষ্টি এলে বেঙে যেতে পাড়ে বাঁধ।

সাংহাই হাওরে মো.মুশাহিদ আলী নামে এক কৃষক অভিযোগ করে জানান,বাঁধ নির্মাণ করে কি হলো বাঁধের গোড়ার মাঠি বাঁধে দিলো, এতে বাঁধের শক্তি কমে গেল। তাতে আমাদের কোন লাভ হলো না। 

আরো কয়েকজন কৃষক  অভিযোগ করে বলেন, আমাদের আগের বাঁধের মাটিটাকে নষ্ট করে দিয়েছে নতুন মাঠি দিয়ে, বিপদ থেকে  উদ্ধার হওয়ার জন্য মাঠি কাটিয়েছে পি আইসিরা।

কৃষক আলমগীর মিয়া জানান, নদীতে নতুন পানি এসে গেছে, এখন বাঁধের কাজ শেষ হয়নি। আর কোন দিন শেষ হবে? কাজ, আমাদের খাই হাওর এখন অরক্ষিত। আমি উপজেলা প্রশাসনের নিকট অতি তাড়াতাড়ি কাজ শেষ হওয়ার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।

খাই হাওরে বাঁধের কাজ অপর দিকে  শেষ হলে ও অত্র এলাকার কৃষকদের দাবী বাঁধের উপর দিয়ে পাকা ব্লক নির্মাণের, খাই হাওরের বায়োবৃদ্ধ কয়েকজন কৃষক জানান,আমাদের  হাওরে প্রায় বাঁধের কাজ শেষ, তবে পাকা ব্লক নির্মাণ করলে বাঁধ অধিক শক্ত হয়ে হয়ে যাবে।  দক্ষিণ সুনামগঞ্জ  হাওর রক্ষা বাঁধের অনেক পিআইসি জানান, বাধের কাজ প্রায় শেষের মতো নিজে না খেয়ে বাঁধে থাকি, প্রায় দুইটি বিল পেয়েছি, নিজের পকেটের টাকা দিয়ে কাজ চালাতে হয়। বাদের  কাজ  প্রায় শেষ হবে। তৃতীয় নম্বর বিলের জন্য বেশ চিন্তায় আছি। এব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ নির্বাহী কর্মকতা হারুন-অর রশীদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি একটু বিজি আছি আপনি  পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করেন। পানি উন্নয়ন কর্মকর্তা মো.  ফারুক আল-মামুনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি  বলেন, হাওরে বেশ পানি ছিল, দেরীতে পানি  কমায়, বাঁধের কাজ শুরু হতে বিলম্ব হয়েছে। আর পযাপ্ত পরিমাণ জায়গা না থাকায় কিছু  পিআইসিরা বাঁধের গোড়া থেকে মাঠি উত্তোলন করেলে তা এখন ভরাট করা হবে। নিশ্চই কিছু দিনের ভিতর বাঁধের কাজ শেষ হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *