চট্টগ্রাম ব্যুরো :
বন্দর নগরী চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানাধীন শাহ আমানত সেতু টোল প্লাজা অফিসের সামনে অভিযান পরিচালনা করে ১৬,০০০ (ষোল হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও একটি সিলভার রংয়ের নোহা মাইক্রোবাস (যাহার রেজিঃ নং-ঢাকা মেট্রো চ-১৩-৬৬৭২) সহ ০২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের বন্দর বিভাগ।
গ্রেফতারকৃত আসামী ঃ ১) কামরুল ইসলাম(২৭), পিতা- মোঃ নূরুল ইসলাম, মাতা-কামরুজ্জাহান পারভিন, সাং-মুরালিয়া, শমসু মিয়ার বাড়ী, থানা- কুতুবদিয়া, এ/পি- কলাতলী আদর্শগ্রাম, মসজিদের পাশে, থানা-সদর, জেলা-কক্সবাজার, ২) মোঃ কায়সার(৩৩), পিতা-সাত্তার সিকদার, মাতা-সুফিয়া বেগম, সাং-মির্জারচর, সিকদার বাড়ী, থানা+জেলা-মাদারীপুর, এ/পি-নুরুল ইসলামের বাড়ী, কলাতলী আদর্শগ্রাম(মসজিদের পাশে), থানা-সদর, জেলা-কক্সবাজার।
১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ ইং তারিখ রাত ১১.৩০ ঘটিকায় মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার(ডিবি-পশ্চিম) জনাব এএএম হুমায়ুন কবীর এর নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোঃ মাহবুবুল আলম, এসআই/মোঃ ইছমাইল হোসেন, এসআই/ স্বপন কুমার সরকার ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কর্ণফুলী থানাধীন শাহ আমানত সেতু টোল প্লাজা অফিসের সামনে অভিযান পরিচালনা করে ১৬,০০০ (ষোল হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও একটি সিলভার রংয়ের নোহা মাইক্রোবাস (যাহার রেজিঃ নং-ঢাকা মেট্রো চ-১৩-৬৬৭২) সহ ০২ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
আসামীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো নোহা মাইক্রোবাসের সিটের নীচে এবং শরীরে বিশেষ কৌশলে রেখে বিক্রয় করার জন্য চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে আসিতেছিল। আসামী কামরুল আরো জানায় জব্দকৃত গাড়িটির মালিক সে নিজে। তার আরো একটি প্রাইভেট কার আছে। গাড়িগুলো জবহঃ ধ ঈধৎ এর ব্যবসার সুযোগ নিয়ে ইয়াবা পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই কৌশল অবলম্বন করে জবহঃ ধ ঈধৎ এর ব্যবসার আড়ালে কামরুল ইসলাম(২৭) ইয়াবা ব্যবসা করে আসছে। ইয়াবা ব্যবসায় মোঃ কায়সার(৩৩) তাকে সহায়তা করে থাকে। মোঃ কায়সার এই কাজে মোঃ কামরুল ইসলামকে সহায়তা করে মাসে ২০০০০(বিশ হাজার) টাকা বেতন পান।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে কর্ণফুলী থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।