রাজনীতির দেনা-পাওনা ও হিসাব-নিকাশ !

গোলাম মাওলা রনি> >

মহাকালের কোন আমল থেকে যে রাজনীতি শুরু হয়েছে, তা আজো কেউ নির্ভুলভাবে বলতে পারেনি। তবে রাজনীতির একদম শুরুর দিন থেকে আজ অবধি তা যেমনি একই নিয়মে পরিচালিত হচ্ছে, তেমনি রাজনীতির দেনা-পাওনা ও হিসাব-নিকাশের পদ্ধতিও সনাতন রীতিতেই মীমাংসিত হয়ে যাচ্ছে। আদিকালের আমির-ওমরাহ, ফৌজদার-কোতোয়ালের নাম স্থান-কাল-পাত্রভেদে কিঞ্চিৎ পরিবর্তন হলেও জল্লাদের নাম, চেহারা-সুরত ও অভ্যাস প্রায় হুবহু বা অবিকৃত রয়েছে। রাজনীতির আদিকালে মাঝে মধ্যে সোনাদানা, স্ত্রী-কন্যা ও জমি-জিরাত দিয়ে ঋণ পরিশোধের কিছু ব্যবস্থা অবশ্য ছিল- তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাজা প্রাণের বলি ও টগবগে গরম রক্ত দিয়েই দায়দেনা মেটাতে হতো। আর হিসাব-নিকাশের পদ্ধতিও অন্য সব অঙ্কের সূত্রের মতো ছিল না। যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ ইত্যাদির চিরাচরিত নিয়ম বা সূত্র মতে, রাজনীতির অঙ্কের হিসাব কোনোকালেই মেলেনি। রাজনীতির অঙ্ক মেলে রাজার হুকুমে।

 

রাজা সাধারণত দু’ভাবে রাজনীতির অঙ্ক কষেন। তার অতি বুদ্ধি যেমন রাজনীতির হিসাব-নিকাশ জটিল থেকে জটিলতর করে তোলে, তেমনি রাজার নির্বুদ্ধিতার কারণে হিসাবের খাতায় দেনা-পাওনার অঙ্ক দুর্বোধ্য হয়ে ওঠে। রাজা প্রথমত স্বৈরাচারের মতো অঙ্কের সংখ্যা নির্ধারণ করে দেন- দ্বিতীয়ত পাত্র-মিত্র, মোসাহেব ও ভাঁড়দের পরামর্শ একেক সময় একেক ধরনের অঙ্কের সমীকরণ দিয়ে থাকেন।

 

রাজার স্বৈরাচারের ধরন প্রকৃতির ওপর এবং রাজনীতির দেনা-পাওনা ও হিসাব-নিকাশ বহুগুণে নির্ভর করে। স্বৈরাচারী হওয়ার অনেকগুলো অন্তর্নিহিত ও পূর্বাপর কারণ যেমন থাকে, তেমনি স্বৈরাচারী শাসনপদ্ধতির ফলাফল নির্ভর করে স্বৈরাচারের স্বৈরাচারী হওয়ার নেপথ্য কারণের ওপর। কামুক ও বদ খাসলতের রাজা-বাদশাদের রাজনীতির হিসাবে মদ-নারী এবং নারী সরবরাহকারী দালালদের ভূমিকা থাকে। দুর্নীতিবাজ, বদরাগী, চরিত্রহীন ও ছোট মনের রাজার যেমন হিসাবপাতি, তার ঠিক বিপরীতটি হয়ে থাকে সৎ, সজ্জন, ধার্মিক ও চরিত্রবান রাজার ক্ষেত্রে।

 

আগেই বলেছি, রাজার ইচ্ছায় রাজনীতির অঙ্ক মেলানো হয়। রাজনীতির হিসাবে প্রায় সব কালেই বড় ধরনের গোঁজামিল থাকে। ফলে মহাকালের পথপরিক্রমায় অতীতের হিসাবের যাবতীয় গরমিল কড়ায়-গণ্ডায় মিলিয়ে দিতে হয়। এ পৃথিবীতে রাজনৈতিক দায়দেনা পরিশোধ না করে কোনো রাজা বা রাজবংশ ভবলীলা সাঙ্গ করতে পেরেছে, এমন নজির আমার জানা নেই। রাজনীতির হিসাবের সমীকরণ উল্টোপথে চললেও দেনা-পাওনার পরিমাণ নির্ধারিত হয় জ্যামিতিক হারে। রাজা যদি সঠিকভাবে হিসাব-নিকাশ করেন, তবে তার প্রাপ্তি দুনিয়ার কোনো অঙ্কবিদ কল্পনাও করতে পারবেন না। কেবল হিসাবের কারণে ইহলৌকিক সুখশান্তি, মান-মর্যাদা, প্রভাব-প্রতিপত্তির সাথে আপন কর্মকে সদকায়ে জারিয়া বানিয়ে পৃথিবীর বুকে অমরত্ব লাভের সুযোগ পাওয়ার পাশাপাশি পরলোকে মহাপুরস্কার লাভের ধর্মীয় প্রতিশ্রুতি রাজার জন্য অবশ্যপ্রাপ্য হয়ে দাঁড়ায়। অন্য দিকে, মন্দ রাজার দুর্ভোগ, দুর্গতির দায়দেনার উচ্চতা যেমন পাহাড়কে ছাড়িয়ে যায়, তেমনি দেনার ওজনে ভূমি দেবে গিয়ে সাগর-মহাসাগরের অতলান্ত সৃষ্টি হয়ে যায়।

 

ইতিহাসের সব পাগল রাজা, সৈরাচারী শাসক, নীতিবির্জিত রাজপুরুষ ও অত্যাচারী বিচারক- তাদের কুকর্মের দেনা মেটাতে গিয়ে সমূলে বিনাশ হয়েছেন। আজ পৃথিবীবাসী চেঙ্গিস খান, হালাকু খান, তৈমুর লং, হিটলার প্রমুখের কোনো বংশধর খুঁজে পায় না। তাদের কবর বা সমাধিও খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্য দিকে হাজার হাজার বছর আগে কোনো এক জনপদে সুকর্ম করা ছোট এক সামন্তরাজাকেও পৃথিবী আজ অবধি ভোলেনি। রাজার যেসব কর্ম রাজনীতির জন্য খুব বড় আকারের দায়দেনা সৃষ্টি করে, সেগুলোর মধ্যে অবিচার হলো সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ও ভয়ানক। রাজক্ষমতা পেয়ে মানুষ যখন বিচারকে কুক্ষিগত করে এবং ন্যায়বিচারের সব পথ বন্ধ করে দেয়, তখন দেশ-কাল ও মানুষের মনে ভয়ঙ্কর ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহবরের মতো রহস্যময় মারণফাঁদ সৃষ্টি হয়ে যায়।

 

মহাকাশের ব্ল্যাকহোল যেমন লাখ লাখ তারকা, গ্রহ-নক্ষত্র ও গ্রহানুপুঞ্জ মুহূর্তেই গিলে খেয়ে ফেলে। তদ্রুপ রাজার অবিচার তার সমুদয় শুভকর্মকে গিলে খেয়ে ফেলে। ব্ল্যাকহোলের মধ্যে যদি কোনো তারকা বা গ্রহ-নক্ষত্র ঢুকে পড়ে, তবে সেগুলো সাথে সাথে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ে। অর্থাৎ এক মুহূর্তের মধ্যে ব্ল্যাকহোল তা হজম করে ফেলে এমনভাবে, যাতে গ্রহ-নক্ষত্রগুলোর সামান্য ছাই বা বর্জ্যরে অস্তিত্বও খুঁজে পাওয়া যায় না। ঠিক একইভাবে অবিচারের কারণে মানব মনে সৃষ্ট ব্ল্যাকহোল অবিচারকারীর শত ক্ষমা প্রার্থনা, অনুনয়-বিনয়, ক্ষতিপূরণ প্রদান কিংবা তোয়াজ-তদবির মুহূর্তের মধ্যে শোষণ করে আরো অধিক প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠে।

 

অবিচারের পর দ্বিতীয় দায়দেনা সৃষ্টিকারী কর্মের নাম অনাচার। রাজক্ষমতা পেয়ে মানুষ যখন ইচ্ছেমতো প্রথাবিরুদ্ধ ও আইনবিরুদ্ধ কাজকর্ম করে বেড়ায়, তখন চার দিকে বেদনার বড় বড় ক্ষত সৃষ্টি হয়। অনাচারের সাধারণত দু’টি রূপ থাকে। প্রথমটি হলো অনাচারমূলক কাজকর্ম এবং দ্বিতীয়টির নাম কুৎসিত আচরণ, বক্তব্য ও অঙ্গভঙ্গি। ইতিহাসের যেসব রাজা অতিমাত্রায় অনাচারী ছিলেন, তারা সবাই জীবিতাবস্থায় পাগল উপাধি পেয়েছিলেন এবং দুর্বিষহ দুর্ভোগ-দুর্দশার মধ্যে ভবলীলা সাঙ্গ করেছিলেন। সম্রাট আলাউদ্দিন খিলজি ও সুলতান মুহাম্মদ বিন তুঘলক তাদের নানাবিধ অনাচারের জন্য আজো বহুমুখী সমালোচনা এবং অনেকের ঘৃণা ও বিরক্তির পাত্রে পরিণত হয়ে আছেন।

 

অনাচারী রাজার কতগুলো সাধারণ বৈশিষ্ট্য থাকে। তারা প্রচণ্ড মেধা ও সামরিক শক্তির অধিকারী হয়ে থাকেন। ঐতিহাসিকভাবে তারা তাদের অনাচারের যোগ্য দোসর, পরামর্শদাতা, সাহায্যকারী ইত্যাদি পেয়ে যান। তাদের রাজকর্মচারীদের বিরাট একটি অংশ রাজার সব অনাচারের সাথে নিজেদের কর্ম, চিন্তা ও চেতনাকে আম-দুধের মতো মিশিয়ে ফেলে। ফলে সাধারণ জনগণ ও ভুক্তভোগীদের অত্যাচারিত হওয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় থাকে না। এ ধরনের রাজরাজড়াদের আরো একটি বৈশিষ্ট্য হলো তারা তাদের শৈশব, কৈশোর ও যৌবনে আপনজন দ্বারা নানাভাবে নির্যাতিত ও নিগৃহীত হতে হতে অনেকটা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন।

 

অনাচারী রাজারা আইন-আদালত, বিচারব্যবস্থা ও প্রশাসনকে পরিপূর্ণভাবে কুক্ষিগত ও বগলদাবা করে ফেলেন। তারা তাদের পছন্দমতো নির্জীব, ব্যক্তিত্বহীন ও দুরাচারী ব্যক্তিদের রাষ্ট্রযন্ত্রের ওইসব গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে দেন। তারপর নানান রাজকীয় হুকুম ও বিচারিক রায় দিয়ে অনাচারকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে দেন। সম্রাট আলাউদ্দিন খিলজি তার সুবিশাল সেনাবাহিনীর ভরণপোষণের দায় জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়ার জন্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ নীতি নামের অদ্ভুত এক আইন চালু করেন।

 

অন্য দিকে, সুলতান মুহাম্মদ বিন তুঘলক নিজের পাগলামো ও অনাচারের সর্বোচ্চ পরাকাষ্ঠা প্রদর্শনের জন্য রাজধানী দিল্লি থেকে দৌলতাবাদে স্থানান্তরিত করেন; যার কারণে কয়েক লাখ নিরীহ দিল্লিবাসী মৃত্যুমুখে পতিত হন। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, কোনো অনাচারী শাসকের নিবর্তনমূলক আইন কিংবা কর্ম তার পতনের পর একমুহূর্তও টিকতে পারেনি। অনাচারীরা যেসব কালাকানুন প্রণয়ন করেন কিংবা যেসব অনাচারী আচার-আচরণ শুরু করেন, তা সাধারণত অতীতে যেমন কেউ করেনি, তেমনি সেই শাসকের পতনের পর এমনতর কর্ম পরবর্তী কোনো অনাচারী শাসক অনুসরণ করেননি। অর্থাৎ প্রত্যেক অনাচারী তার কুকর্মে অদ্ভুত এক মৌলিকত্ব কিংবা স্বতন্ত্র উদ্ভাবনী ক্ষমতা প্রদর্শন করতে সক্ষম হন, যা কিনা তার মৃত্যুর সাথে সাথে তার কাফনের মধ্যে ঢুকে হয় কবরযাত্রা করে নতুবা চিতার আগুনে নতুন মাত্রা যোগ করে অনাচারীর সাথে পুড়ে মরে।

 

অবিচার ও অনাচারকে দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা করার জন্য রাজনীতির সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হলো জুলুম ও অত্যাচার। সেই অনাদিকাল থেকেই মানুষের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বের বোধ ও বুদ্ধি স্তব্ধ করে দেয়ার জন্য রাজনীতিতে জেল, জুলুম, হত্যা, গুম, দেশান্তর, নির্বাসন ও নির্যাতনের রীতিনীতি চলে আসছে। সামাজিক জীবনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, প্রেম-ভালোবাসা, মান-সম্মান রক্ষা কিংবা একে অপরের ওপর প্রভুত্ব অর্জনের জন্যও কমবেশি জুলুম-অত্যাচার হয়ে আসছে সেই অনাদিকাল থেকেই।

 

কিন্তু সংখ্যার বিচারে রাজনৈতিক জুলুম-অত্যাচারের কাছে পারিবারিক ও সামাজিক জুলুম-অত্যাচার একেবারে নস্যি। সামাজিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বন্দ্বসঙ্ঘাত করতে গিয়ে যে জুলুম-অত্যাচার হয়, তা প্রায় সব ক্ষেত্রেই সময়ের পরিক্রমায় মীমাংসা হয়ে যায়। কিন্তু রাজনৈতিক জুলুম-অত্যাচারের ক্ষত কোনো দিন শুকায় না। শত বছর ছাড়িয়ে কখনো কখনো হাজার বছর পরও রাজনীতির জুলুম-অত্যাচারের প্রতিশোধ নেয়া হয়। আজ থেকে প্রায় সাড়ে তেইশ শ’ বছর আগে আলেকজান্ডার পারস্য আক্রমণ করে দেশটি দখল করে নিয়েছিলেন। তারপর কোনো এক রাতে মদ্যপ অবস্থায় তার যৌনদাসী জনৈক মহিলার প্ররোচনায় তিনি পারসিকদের রাজধানী, যা ছিল প্রাচীন দুনিয়ার সর্ববৃহৎ ও সমৃদ্ধশালী মহানগরী- সম্পূর্ণ জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দেন।

 

পারস্যের তৎকালীন রাজধানী পার্সিপোলিশ পুড়িয়ে দেয়ার জন্য পারসিকরা আজো আলেকজান্ডারকে ক্ষমা করতে পারেননি। একইভাবে ফেরাউন, নমরুদ, সাদ্দাদ প্রমুখ প্রাগৈতিহাসিক ভিলেনরা আজ অবধি মানুষের অভিশাপ ও ঘৃণা কুড়াচ্ছেন পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত। জুলুম-অত্যাচার ছাড়া রাজনৈতিক দায়দেনা সৃষ্টিকারী আরেকটি কর্ম হলো রাজার বালখিল্যময় কথাবার্তা, হাস্যকৌতুক অথবা অনাহূত শব্দসন্ত্রাস। রাজা কখনো বা অতি সুখে আহ্লাদিত হয়ে নিজের দম্ভ ও শক্তিমত্তাকে জানান দেয়ার জন্য হাস্যকৌতুকের অছিলায় তার শত্রুদের অপমান করার জন্য নানান কথাবার্তা বলে থাকেন। এ ছাড়াও তিনি অতিশয় রাগান্বিত হয়ে অশ্লীল বাক্যবাণে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা করেন। রাজক্ষমতার মসনদে বসে রাজার এসব বাক্যবাণ বহুগুণে ক্ষতিকর হয়ে তার প্রতিপক্ষের সর্বাঙ্গ বিদীর্ণ করে দেয়। রাজা যার নামে বাক্যবাণ ছোড়েন, রাজ অমাত্যরা তলোয়ার নিয়ে সেই হতভাগ্যের অঙ্গহানির জন্য তাড়া করতে শুরু করেন।

 

রাজনীতির দেনা-পাওনার একটি ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য হলো, এটি কেবল রাজাকে ভোগায় না- রাজ অমাত্যদেরকেও ভোগায়। কখনো কখনো রাজার চেয়ে রাজ-অমাত্যদেরকে বেশিমাত্রায় দায় শোধ করতে হয়। রাজনীতির দেনা যত বেশি তামাদি হয়। অর্থাৎ দেনা যত বেশি পুরনো হয় ততই তা চক্রবৃদ্ধি হারে বেড়ে হিসাবের পাল্লা ভারী করতে থাকে। রাজনীতির দেনার অপর একটি বৈশিষ্ট্য হলো, এই দেনার দায় জমিন ও আসমান উভয় স্থানে বৃদ্ধি পায় এবং দেনাদারকে উভয় স্থানে তা পরিশোধ করতে হয়। সেই রাজনীতিবিদ তুলনামূলকভাবে কম ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হন, যে খুব অল্প সময়ের মধ্যে নিজের কৃতকর্মের দায় মেটানোর সুযোগ পান। অপর দিকে দীর্ঘ দিন নানা কুকর্ম, অনাচার, অত্যাচার ও অবিচার দ্বারা যারা পৃথিবীর আকাশ-বাতাস, নদী-সমুদ্র, বনজঙ্গল ও পাহাড়-পর্বত কলুষিত করেন, তাদের দায়দেনা শোধের নজির ততটা ভয়াবহ, এতটা নির্মম ও আকস্মিক হয়ে থাকে; যা মানুষের সাধারণ মন-মস্তিষ্ক কল্পনাও করতে পারে না।

লেখক -কলামিস্ট ও

সাবেক সংসদ সদস্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *