ঠাকুরগাঁও থেকে : সাংবাদিক খুরশিদ আলম শাওনকে ‘কেটে ফেলার’ হুমকি দেয়ার পর এবার ‘এক দিনে ২১ হাজার সাংবাদিক’ বানানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলমগীর সরকার।
রোববার রাণীশংকৈল উপজেলা পরিষদের সামনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র আলমগীর বলেন, ‘এ রকম সাংবাদিক, শাওন নামে এক সাংবাদিক, আমি যাকে সাংবাদিক মনে করি না। সে অনিয়মের কথা বলছে। তাই বিষয়টার সূত্র ধরে তার রাস্তার বরাত ধরে সে এ কাজটা করেছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের বাধা সৃষ্টি করছে। এটাই হলো আসল কথা। আমি বলতে চাচ্ছি, আপনারা যারা এখানে (রাণীশংকৈলে) সাংবাদিক আছেন তারা বুক ফুলিয়ে অনিয়মের কথা লেখেন। অন্যায় হলে লিখবেন বুক ফুলিয়ে লিখবেন। এখানে প্রেসক্লাবের যারা সাংবাদিক আছেন তাকে (শাওনকে) বহিষ্কার করেন। আপনারা সাংবাদিকরা কি ফেরেস্তা। যেটা লিখবেন ওইটাই সত্য। আপনারা ঠাকুরগাঁও থেকে আসেন রাস্তায় যান লিখেন। যদি কাজের ত্রুটি থাকে তাহলে মেয়র পদ ছেড়ে দেবো।’
মেয়র বলেন, ‘শাওনের মতো সাংবাদিকরা ভাটায় টাকা পায়; আমি সব সাংবাদিকদের বলছি না। আমাদের কয়েকটা সাংবাদিক আছে; কই ওরা তো লিখে না। আপনি বিএনপি করেন তাই আওয়ামী লীগের কেমন করে দুর্নাম করা যায় এটা করেন।’
মেয়র আলমগীর বলেন, ‘যারা প্রেসক্লাবে আছেন ঐরকম সাংবাদিককে (শাওন) বাদ দিয়ে দেন। না হলে এক দিনে ২১ হাজার সাংবাদিক তৈরি করবো আমি। সাংবাদিক হবে ঘরে ঘরে। আমাদেরও লোক আছে; সাংবাদিকের কার্ড করতে কয় টাকা লাগে সেটা আমরা জানি। ২১ হাজার সাংবাদিক আমরা তৈরি করতে পারবো।
মেয়র আরও বলেন, ‘আমি ইউএনও সাহেবকে বলতে চাই; আপনি এখানে একটা অনুষ্ঠান করছেন; দুইটা গাছের ডাল কাটছেন; যেন অনুষ্ঠানটা হয়। কিন্তু এরকম একটা সাংবাদিক আপনার বিরুদ্ধে লিখছে গাছের ডাল কাটে ইউএনও শেষ করে দিল। ইউএনও গাছের ডাল কাটে কি করবে খড়ি হবে; ইউএনও’র কি টাকা নাই। এ রকম সাংবাদিকদের যদি রাখেন তাহলে তো সমস্যা। ঠাকুরগাঁওয়ে সাংবাদিকতা না করে এখানে আসেন; আপনি বস না কস দেখার দরকার নাই; আপনি এখানে আসেন। আপনার বস আমাদের ঢাকায় বসে আছে।’