চট্টগ্রাম চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে জাপান-বাংলাদেশ চেম্বারের মতবিনিময় 

 

মোঃ আলাউদ্দীন :

 

জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (জেবিসিসিআই)’র সভাপতি সালাহ্উদ্দীন কাসেম খান’র নেতৃত্বে ১২ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদল ও জাপান দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারী তাকাশী শিমোকিওদা (গৎ. ঞধশধংযর ঝযরসড়শুড়ফধ) ০৩ ফেব্রুয়ারি সকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এ সময় চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ নুরুন নেওয়াজ সেলিম, সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ ও সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আবদুল মজিদ, জেবিসিসিআই’র এডভাইজর আখতারুজ্জামান, মহাসচিব তারেক রাফি ভূঁইয়া বক্তব্য রাখেন।

 

এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে পরিচালকবৃন্দ কামাল মোস্তফা চৌধুরী, মাহবুবুল হক চৌধুরী (বাবর), মোঃ আবদুল মান্নান সোহেল, সান্তাক্রুজের স্বত্বাধিকারী গোলাম গাফফার, মাল্টি ফ্রেইট লিঃ’র সৈয়দ গোলাম মাওলা, টোরে ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’র কান্ট্রি ম্যানেজার মাহমুদর রহমান মামুন, মায়েকাওয়া ম্যানুফেকচারিং কোম্পানী লিঃ’র কান্ট্রি ম্যানেজার এস.এম. তারিক, হাইসন ইন্টারন্যাশনাল লিঃ’র বাংলাদেশ অপারেশন ম্যানেজার নিয়াজ মাহমুদ হাই, নভো কার্গো সার্ভিসেস লিঃ’র ডাইরেক্টর সিরাজুল হক আনসারী ও ছুপা বাংলাদেশ’র কান্ট্রি ম্যানেজার হাসান উপস্থিত ছিলেন।

 

চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন-অবকাঠামোসহ বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে জাপানের অবদান অপরিসীম। জাপান নিঃশর্তভাবে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে আসছে। তিনি সোনাদিয়া সমুদ্র বন্দর ও বে-টার্মিনাল নির্মাণে জাপানের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। বাংলাদেশে ২০০ এর অধিক জাপানী কোম্পানী রয়েছে উল্লেখ করে চেম্বার সভাপতি বন্দরসহ ভৌগোলিক অবস্থানগত সুবিধা কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলে জাপানী বিনিয়োগ বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং জাপানী বিনিয়োগকারীদের জন্য ১টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার আহবান জানান। সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ নুরুন নেওয়াজ সেলিম ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে জাপানের সহযোগিতা কামনা করেন। সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ ইকনোমিক জোনে জাপানের বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেন।

 

জেবিসিসিআই সভাপতি সালাহ্উদ্দীন কাসেম খান বলেন-বাংলাদেশের জিডিপিতে চট্টগ্রামের অবদান প্রায় ১২%। কিন্তু সে অনুপাতে বাণিজ্যিক রাজধানীর সুযোগ সুবিধা আরও বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশীপ সৃষ্টিতে জাইকা, জেটরো, চিটাগাং চেম্বার, জেবিসিসিআই এবং দূতাবাসের সমন্বয়ে একটি ডায়ালগ আয়োজনের অনুরোধ জানান। সরকারের নীতিমালার সাথে সংগতি রেখে চট্টগ্রাম থেকে মিরসরাই পর্যন্ত শিল্প এলাকার সুবিধার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

 

জাপান দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারী তাকাশী শিমোকিওদা বলেন-জাপানীরা অনেকগুলো কোম্পানী অন্যদেশে স্থানান্তর করতে আগ্রহী এবং বাংলাদেশ তাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। এক্ষেত্রে তিনি সরকারকে জাপানী কোম্পানীগুলোর জন্য আরও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহবান জানান। প্রতিদিন জাপানী বিনিয়োগকারীরা দূতাবাসে এদেশে বিনিয়োগ করার পরামর্শ গ্রহণ করেন। তিনি কার্যক্রমের সুবিধার্থে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে জাইকার অফিস স্থাপন করা হবে বলে জানান। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আবদুল মজিদ জাইকা রিপোর্ট পর্যালোচনার আহবান জানান। অন্যান্য বক্তারা বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি ও তৈরীপোশাক আমদানির আহবান জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *