সোনাগাজীতে রাতের আঁধারে সরকারি খামারের হাঁস পাচার : ৩ জনকে পুলিশে সোপর্দ

 

সোনাগাজী প্রতিনিধি :

বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম হাঁস প্রজনন খামার সোনাগাজী আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামার থেকে শুক্রবার গভীর রাতে হাঁস পাচারের সময় এক কর্মকর্তাসহ তিনজনকে উত্তম মাধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। আটককৃতরা হচ্ছে সোনাগাজী আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক মো. জাহিদ বিন রশিদ আল নাহিয়ান, চরগণেষ গ্রামের মো. মোস্তফার ছেলে আরিফ এবং একই গ্রামের মো. ইউনুসের ছেলে আবুল কালাম। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে সোনাগাজী বাজার সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ, এলাকাবাসী ও খামার কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, এলাকার মানুষদের স্বাবলম্বী করতে ২০০৩ সালে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন করে হাঁস প্রজনন কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়। বিগত বছর খানেক পূর্বে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক জাহিদ যোগদানের পর থেকে এলাকাবাসীর কাছে ডিম ও হাঁস বিক্রি না করে কুমিল্লা সহ বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছে রাতের আঁধারে বিক্রি করে আসছে। ফলে এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজমান। বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকেও দু’শতাধিক হাঁস কুমিল্লার এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়। শুক্রবার রাতেও অনরূপভাবে দু’শতাধিক হাঁস পাচারের সময় সিএনজি অটোরিকশা সহ বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী তাদেরকে আটক করে উত্তম মাধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে মছলেকা দিয়ে তারা ভোর ৫টার দিকে সোনাগাজী থানা থেকে ছাড়া পায়। এ ব্যাপারে সোনাগাজী মডেল থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। জিডি নাং-৮০৬, তাং-২০-০১-২০১৮ইং। স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর ইমাম উদ্দিন ভূঞা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। খামার কর্তৃপক্ষ এলাকার কোন লোকের কাছে হাঁস ও ডিমগুলো বিক্রি না করে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য রাতের আঁধারে বিভিন্ন জেলার লোকদের কাছে হাঁস ও ডিমগুলো বিক্রি করে আসছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে দীর্ঘ দিন যাবৎ ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজমান রয়েছে।

এ ব্যাপারে খামারের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক মো. জাহিদ বিন রশিদ আল নাহিয়ান জানান, দিনের বেলায় হাঁস বিক্রি করলে জনগণের ভীড় এড়ানো যায়না। তাই রাতের আঁধারে নিয়ম মেনে হাঁসগুলো বিক্রি করা হয়। সোনাগাজী মডেল থানার এসআই আবুল খায়ের জানান, বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী তিনজন লোককে হাঁসগুলো সহ আটক করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে কাগজপত্র দেখালে মুছলেকা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় হাঁস ব্যবসায়ী জানান, জেলার বাইরের ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতিটি হাঁস ২২০টাকা দরে বিক্রি করলেও রশিদে উল্লেখ করেন ১৭০টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *