ট্রিপল মার্ডার : আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ বলছে পলাতক ★ বাংলারদর্পন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউপিতে বিগত ১৭জানুয়ারি, ২০১৭ খ্রীঃ পরোলকগত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এম,পি সমর্থিত আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আহাদ মিয়া এবং মাসুক গং এর সাথে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মতিউর রহমান অনুসারী, যুবলীগ নেতা হাতিয়া গ্রামের রোটারিয়ান মোঃ একরার হোসেন গ্রুপের সাথে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষকালে ঘটনাস্থলে তাজুল ইসলাম নামে একজন নিহত এবং শাহারুল ও  উজ্জ্বল নামে আরো ২জন সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যানন। দেশব্যপী সারা জাগানো আলোচিত হত্যাকান্ডের আজ এক বছর পূর্ণ হল।
এখনো মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়নি!
দিরাই থানা পুলিশ আলোচিত ও মর্মান্তিক এই হত্যা কান্ডে কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। গত বছর ৪জন আসামি প্রথম আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে সুনামগঞ্জ, সিলেট ও হবিগঞ্জ থেকে মামলার আসামি শুটার ও প্রত্যক্ষ খুনিদের র‍্যাব একেরপর এক গ্রেফতার করলেও শীর্ষ আসামিরা এখনো রয়েছেন অধরা! রাজনৈতিক পদ-পদবীর অপব্যবহার ও জনপ্রতিনিধিত্বের দাপটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রশাসনের নাকের ডগায়! এমনি স্থানীয় এম,পি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ পুলিশের উপস্থিতিতে চলছে আসামিদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রম যদিও পুলিশ তাদের খুঁজে পাচ্ছেনা!
মামলাটি বর্তমানে সি,আই,ডি, তদন্ত করছে আর আসামি গ্রেফতার করছে র‍্যাব। অনেক আসামি জামিনে বেরিয়েছে।
ঐতিহ্যগত ভাবে সুরঞ্জিত বলয়ের নেতাকর্মীদের অলিখিত  নির্দেশে চলে আসা প্রশাসন একেরপর এক চাঞ্চল্যকর দুর্ঘটনার পরও সড়ে আসেননি তাদের অবস্থান থেকে। শীর্ষ আসামিদের প্রকাশ্যে চলাফেরা ও গ্রেফতার না হওয়ায়
 দিরাই থানা পুলিশের রহস্যময় ভূমিকাকে দায়ী করছেন নিহতের পরিবার ও মামলার বাদী যুবলীগ নেতা একরার হোসেন। মুঠো ফোনে বাংলার দর্পণ অনলাইন কে, বাদী একরার হোসেন অভিযোগ করেন
 সুরঞ্জিত আশির্বাদ পোষ্ট প্রভাবশালী নেতাকর্মীরা দিরাই শাল্লার সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করেন।
যে বা যারাই তাদের পথেরকাঁটা হয়ে দাঁড়ায় মিথ্যা মামলা, হামলা, জবর দখল করে তাদের ধাবিয়ে রাখা হয়। এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হলে প্রশাসনকে রাজনৈতিক পরিচয় ও জনপ্রতিনিধির পদবী না দেখে অপরাধের সংশ্লিষ্টতা দেখে নিরপেক্ষ ভাবে আইনের প্রয়োগ করতে হবে অন্যতায় তাদের খুনের উন্মত্তা চলতেই থাকবে।
একি বলয়ের আরেক নেতাও বিগত নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে রফিনগর ইউপিতে জলমহাল কেন্দ্রিক আব্দুল হান্নান রাষ্ট্র মিয়া হত্যার ঘটনায় ৭নং আসামি হয়ে এখন এম,পি, আর উপজেলা আওয়ামীগ এর ছত্রছায়ায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। উপজেলা আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ এর এক গ্রুপ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলার দর্পণ কে বলেন, একাধিক হত্যা মামলায় উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহসাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক সহ কয়েকজন সদস্য অভিযুক্ত হওয়াতে ক্ষমতাসীন দল হিসাবে স্থানীয় এম,পি, সহ শীর্ষ নেতাদের উচিত ছিলো, ঘটনায় জড়িত না থাকলে আইনানুগ ভাবে নির্দোষ প্রমাণ করা, আর জড়িত থাকলে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা। ওদের বিতর্কিত কর্মকান্ডের দায় ক্ষমতাসীন দল কেন বহন করবে প্রশ্ন করেন এক সাবেক নেতা। এব্যাপারে মুঠো ফোনে দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামালের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমরা আসামি গ্রেফতারে তৎপর আছি আর এখন মামলা সি,আই,ডি তদন্ত করছে অভিযোগপত্র উনারা কখন দিবেন তা সি,আই,ডি ই বলতে পারবে।
ইসালে সোওয়াব মাহফিল আজঃ নিরিহ ৩জন গ্রামবাসী নিহতের বর্ষপূর্তিতে আজ তাদের পরিবারের উদ্যোগে ইসালে সোওয়াব ও দু’য়া  মাহফিল এর আয়োজন করা হয়েছে এতে বিভিন্ন এলাকার উলামায়ে কেরাম ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গকে অতিথি করা হয়েছে বলে মামলার বাদি একরার হোসেন এবং নিহত তাজুলের পিতা এপ্রতিবেদক কে নিশ্চিত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *