এমদাদ খান : শেখ হাসিনার অধীনে নয় বরং নির্বাচন কমিশনের অধিনেই আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফলে এ নিয়ে অপপ্রচার চালানো থেকে বিএনপিকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ ( ৩ তারিখ) বুধবার রামগড় উপজেলায় ফেনী নদীর উপর নির্মানাধীন মৈত্রী সেতু-১ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন, জনপ্রিয়তা না থাকায় নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়েই সংসদ নির্বাচন নিয়ে এধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছেন বিএনপি নেতারা।
পরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা দুপুরে রামগড় পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে দ্বিপক্ষীয় এক বৈঠকে বসেন। বৈঠকে ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এ কথা বলেছেন, বিভিন্ন সংযোগ প্রকল্পে ভারত ও বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। রামগড় সীমান্তে ফেনী নদীর উপর প্রস্তাবিত সেতু প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানীর মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হবে।
ভারতীয় হাই কমিশনার আরো বলেন, ফেনী নদীর উপর সেতু নির্মিত হলে ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য ও পর্যটন সম্ভাবনা আরো সম্প্রসারিত হবে। বৈঠক শেষে সেতুমন্ত্রী ও ভারতের হাইকমিশনার রামগড়ের মহামুনি ও ত্রিপুরার সাব্রুম এলাকায় স্থলবন্দর চালুর লক্ষ্যকে সামনে রেখে ফেনী নদীর ওপর নির্মানাধীন বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী সেতুর কাজের পরিদর্শনসহ সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। বৈঠকে জানানো হয়, বাংলাদেশের রামগড় পৌরসভার মহামুনি ও ভারতের সাবরুম মহকুমার দোলবাড়ী সীমান্ত সংযোগ ফেনী নদীতে মৈত্রী সেতু-১ এর নির্মাণ কাজ আগামী ফেব্রুয়ারিতে শুরু হচ্ছে।
এসময় খাগড়াছড়ির সাংসদ উপজাতীয় শরনার্থী ট্রাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, সাবেক সাংসদ ও শরনার্থী টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, জেলা প্রশাসক মোঃ রাশেদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আলী আহমদ খাঁন, খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র রফিকুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী মোহাম্মদ চাহেল তস্তরী, রামগড় পৌর মেয়র কাজী শাহজাহান রিপন, চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপদ বিভাগের এডিশনাল চীপ আফতাব হোসেন সহ ভারতীয় সড়ক ও জনপদ বিভাগের উচ্চপদস্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত: ২০১৭ সালের জানুয়ারী মাসে শুরু হয় বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী সেতু-১ এর নির্মাণ কাজ। ভারত ও বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৯ সালে নির্মাণকাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ভারতের অর্থায়নে ৩২২ মিটার দীর্ঘ সেতুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে। রামগড় স্থলবন্দর চালুর লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরের সময় বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ফেনী নদীর উপর এ সেতুর ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন।