কমান্ডার নুরুল অাফছার হত্যা মামলা: চিকিৎসার জন্য অাসামীদের অন্তর্বতী জামিন

বাংলারদর্পন অাদালত প্রতিবেদকঃ  মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল অাবছার হত্যা মামলার প্রধান ৩ অাসামীকে চিকিৎসার জন্য এ ১ সপ্তাহের অন্তর্বতী  জামিন দিয়েছে  অবকাশকালীন বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ অাদালত। ২৭ ডিসেম্বর বুধবার সকালে ফেনীর জজ অাদালতে জামিন অাবেদন করেন অাসামী নাছির উদ্দিন (৭৬), মোশারফ হোসেন(৭৩) ও আবুল কাশেম (৬৬)। দীর্ঘ শুনানীর পর এক সপ্তাহের অন্তর্বতী জামিন মঞ্জুর করেন অবকাশকালীন বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ অাদালতের হাকিম মীর রুহুল অামিন । বাদী পক্ষে এডভোকেট জাহাঙ্গীর অালম নান্টু ও বিবাদী পক্ষে এডভোকেট অাকরামুজ্জামান শুনানীতে অংশ নেন। মামলার অপর অাসামী রাজাকার শাহজান আকবর পলাতক রয়েছেন।

এর অাগে, হত্যাকান্ডের ৪৬ বছর পর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শহীদ নুরুল অাফছার হত্যা মামলা দায়ের হয়। ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অাদালত(সোনাগাজী) সিরাজ উদ্দিন ইকবালের অাদালতে ১৩এপ্রিল বৃহস্পতিবার মামলাটি রুজু করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল অাফছারের ছোট ভাই গোলাম কিবরিয়া বাবুল। অাদালতের নির্দেশে সরজমিনে তদন্ত ও মুক্তিযোদ্বাদের সাক্ষ্য গ্রহন শেষে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭তারিখে মামলটি এফআইঅার করেন মডেল থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির।

বাদী পক্ষের অাইনজীবি এড. জাহাঙ্গীর অালম নান্টু জানান, উক্ত মামলায় সোনাগাজী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সৈয়দ নাছির উদ্দিন, সাবেক কমান্ডার মোশারফ হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা অাবুল কাশেম কাজি ও রাজাকার শাহজাহান অাকবর এর উল্লেখ করে অজ্ঞাত অারো ৭ জনকে অাসামী করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল অাফছার সোনাগাজী অঞ্চলে ভারত থেকে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত প্রথম এফএফ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। উপজেলার বাদামতলি গ্রামে রশিদ মেম্বার বাড়ীতে ক্যাম্প করে উপজেলার সর্বত্র গেরিলা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। তিনি সদর ইউনিয়নের ফরাজী বাড়ীর মৌলভী অাহম্মদ করিমের বড় ছেলে। ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় উৎসবের পুর্ব মুহুর্তে ১১ ডিসেম্বর সোনাগাজী থানার ভেতরে রাজাকার শাহজাহানকে রক্ষা করতে, শাহজাহানের ভাই বিএলএফ কমান্ডার নাছির উদ্দিনের নির্দেশে শহীদ নুরুল আবছারকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয় ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *