রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের আলিপুর ১নং কলোনি রিফুজি পাড়ায় কয়েকটি স্থানে বেকু দিয়ে অবৈধ ভাবে দীর্ঘদিন যাবত ফসলি জমি ধ্বংস করে মাটি বিক্রির মহোৎসব চলছে। ফলে ৫০-৬০ টি বসতবাড়ি এবং ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে।
জানা গেছে, আলিপুর ইউনিয়নের আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলীর ভাতিজা রাজবি, ফজলু ব্যবপারী, আব্দুল খালেক, মোঃ খালেক মোল্লা সহ কয়েক গ্রামের কয়েক জন প্রভাবশালী ব্যাক্তি বেকু দিয়ে কয়েকটি স্থান থেকে অবৈধভাবে প্রতিদিন কয়েকশত ট্রাক মাটি বিক্রি করছে বিভিন্ন ইট ভাটায়।
মাটি খেখোরা প্রভাবশালী হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারছেন না। এ অবস্থায় ফসলি জমির স্বাভাবিক গতিপথ রোধ হলে বসতবাড়ি ও ফসলি জমি বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি বাড়ি হুমকীর মুখে পড়েছে।
এলাকাবাসী চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দিলেও তার পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধতে পারে। এলাকাবাসী এবিষয়ে যে প্রশাসনের কাছে যেতে ও ভয় পাচ্ছে।
এ ব্যাপারে মাটি ত্রানের জমি থেকে মাটি বিক্রিকারী চেয়ারম্যানের ভাতিজা মোঃ আমিনুল ইসলাম (রাজিব)বলেন, আমি ৬বিঘা জমি কিনেছি আর সেই জমি থেকেই বেকুদিয়ে মাটি কাটছে। এ ব্যাপারে এলাকা বাসীর পক্ষ থেকে একাধীকবার বাধা দেওয়া হলেও তা মানেননি প্রভাশালী রাজিব।
এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মোঃ রহিম তালুকদার, মোঃ সালাম তফাদার ও মোঃ ইউনুস শেখ জানান, গত এক বছর যাবত এভাবেই চেয়ারম্যান শওকত আলীর ভাতিজা প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে মাটি বিক্রি করে আসছে কেউ বাধা দিলে তাকে মারধোর সহ হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমরা গরিব কৃষক খেটে খাওয়া মানুষ তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারছি না।
তাই সচেতন মহল প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধসহ মাটি ব্যবসায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
আলিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ শওকত আলী জানান বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি একজন মেম্বার কে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি বিষটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।তবে তিনি তার ভাতিজার বিষটি এরিয়ে যান।