যুক্তরাষ্ট্র মনে করে রাজনৈতিক কারনে জঙ্গিদের ব্যবহার করবে বিএনপি!

 

বাংলারদর্পন :

নতুন বছরের শুরুতেই বাংলাদেশের রাজনীতি সহিংস হয়ে উঠবে- এমন আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়া। এই কারণে তাঁদের দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমনের সতর্কতা জারি করেছে দেশ তিনটি। তিনটি দেশের দূতাবাস সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ সতর্কতা সংক্রান্ত জরুরি গোপন বার্তায় বলেছে, ২০১৮র শুরুতেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সহিংস হয়ে উঠবে। এই সহিংসতায় জঙ্গি তৎপরতার ঘটনাও ঘটবে বলে আশঙ্কা দেশটির।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দুটি দুর্নীতির মামলার রায় নতুন বছরের প্রথমার্ধেই হওয়ার কথা। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, এই দুটি মামলাতেই বেগম জিয়ার দণ্ডিত হবার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। বেগম জিয়া গ্রেপ্তার হলে তার প্রতিবাদের ভাষা হবে সহিংস। এই সহিংসতার অনেকগুলো ইসলাম পছন্দ জঙ্গি সংগঠন জড়িয়ে পড়বে বলে ধারণা যুক্তরাষ্ট্রের।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর মনে করে, বাংলাদেশে জামাত, ইসলামী ছাত্র শিবিরসহ জঙ্গি সংগঠনগুলো কোনঠাসা হলেও এখনো এদের তৎপরতা রয়েছে। বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় এরা সংগঠিত হচ্ছে বলেও ধারণা যুক্তরাষ্ট্রের। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএনপি রাজনৈতিক প্রতিবাদের ভাষা ব্যবহার করলেও তার জঙ্গি সংগঠনগুলোকে ব্যবহার করবে। এর ফলে দেশ অস্থির হয়ে উঠবে।

যুক্তরাজ্য তার ভ্রমণ সতর্কতাতেও বাংলাদেশ জঙ্গি সংগঠনগুলো সক্রিয় হয়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেছে। যুক্তরাজ্য মনে করে গত কয়েক বছরে সরকারের জঙ্গি বিরোধী অভিযানের পরও এখনো এই সব সংগঠনকে সমূলে বিনাশ করা যায়নি। এদের কার্যক্রম রয়ে গেছে। জঙ্গি অর্থায়নও রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মতো যুক্তরাজ্যও মনে করছে, বিএনপি তার রাজনৈতিক আন্দোলনে জঙ্গিদের ব্যবহার করতে পারে। কারণ বাংলাদেশে দাবি আদায়ের সংস্কৃতিই হলো জ্বালাও, ভাঙচুর এবং জীবনহানী। বিএনপি সরকারের পতন ঘটাতে সব চেষ্টাই করবে, তবে চেষ্টাগুলো যে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের পথ হবে না তা স্পষ্ট। অস্ট্রেলিয়াও ভ্রমণ সতর্কতা জারি সংক্রান্ত নোটে বেগম জিয়ার মামলা এবং নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশে ব্যাপক গোলযোগের আশঙ্কা করছে।

বাংলাদেশস্থ অস্ট্রেলিয়ার দূতাবাস, একাধিক বিএনপি নেতার সঙ্গে কথা বলে জেনেছে, যেকোনো মূল্যে আওয়ামী লীগেকে তারা ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়। আর এই যেকোনো মূল্যে তারা যে সহিংসতা, ষড়যন্ত্র সব পথেই হাঁটবে তা নিশ্চিত মনে করছে অস্ট্রেলিয়া।

বাংলাদেশেও একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা মনে করছে, বেগম জিয়ার মামলাকে ঘিরে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা হতে পারে। তবে, সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা মনে করে, সন্ত্রাসী তৎপরতা কঠোরভাবে দমনে সরকারের সক্ষমতার ঘাটতি নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *