মোঃ আলাউদ্দীন :
দীর্ঘ এক মাস মৃত্যুর সাথে লড়াই করে অবশেষ মৃত্যু বরণ করলেন চট্টগ্রামের বর্ষীয়ান নেতা, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি, চট্টগ্রাম সিটিকর্পোরেশনের সাবেক তিন বারের নির্বাচিত মেয়র আলহাজ এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। গত ১৪ই ডিসেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় চট্টগ্রামের ম্যাক্স হাসপাতালে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। দীর্ঘ দিন যাবত্ তিনি কিডনী সমস্যায় ভুগছিলেন। বৃহস্পতি বার বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিগত ১১ নভেম্বরও বুকে ব্যথা অনুভর করার কারণে তাঁকে একই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল।অবস্থার অবনতি ঘটায় ১২ই নভেম্বর দুপুরে তাঁকে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় নিয়ে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৬ই নভেম্বর উন্নত চিকিত্সার জন্য সিঙ্গাপুর নিয়ে তাঁকে অ্যাপোলো গিলনিগ্যালস হসপিটালে ভর্তি করা হয়।সেখানে তাঁর হার্টে এনজিওগ্রাম ও দুইটি ব্লকে রিং লাগানো হয়। ১১ দিন চিকিত্সা শেষে দেশে ফেরার পর ২৬ নভেম্বর কিডনী ডায়লসিসের জন্য তাঁকে আবার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এবং গত ১২ই নভেম্বর তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়।
মহিউদ্দীন চৌধুরী ব্যক্তিগত জীবনে দুই পুত্র ও তিন কণ্যা সন্তানের জনক বলে জানা গেছে। তার বড় ছেলে ব্যারিষ্টার নওফেল বর্তমানে আওয়ামীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক। মহিউদ্দীন চৌধিরী ১৯৪৪ সালে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার গহিরা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি প্রথম বারের মত চট্টগ্রাম সিটিকর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি ধারাবাহিক ভাবে পর পর তিন বার মেয়র নির্বাচিত হন। তার মৃত্যুতে চট্টগ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। সকাল সাড়ে পাঁচটায় তাঁর মরদেহ তাঁর বাস ভবনে নেওয়ার পর থেকে আওয়ামীলীগের নতা কর্মী সহ বিপুল সংখ্যক লোক তাঁর বাস ভবনের সামনে ভীর জমাতে থাকে।
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে সার্বক্ষণিক মহিউদ্দীন চৌধুরীর বাসায় অবস্থান করতে দেখা যায়। দুপুর সোয়া বারটার দিকে সেখানে আসেন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এর আগে আসেন ডঃ হাছান মাহমুদ,ভূমি প্রতি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ,চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম, সি ডি এ চেয়ারম্যান এম এ ছালাম এবং বি এন পি র কেন্দ্রীয় নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধূরী। পরে বিকাল তিনটার পর মহিউদ্দীন চৌধুরীর মর দেহ লালদিঘি মাঠে নিয়ে আসা হয়।বিকেল চারটায় আছরের নামাজের পর নামাজে জানাজা শেষে ষোল শহর ২নং গেট চশমা হিলস্থ তাঁর পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়।তাঁর জানাজায় আব্দুল্লাহ আল নোমান ও ডাঃ শাহাদাত্সহ বি এন পি র কতিপয় নেতা অংশ গ্রহণ করেন।এছাড়া আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সহ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ ও সর্ব স্তরের জনগণ অংশ গ্রহণ করে।লাল দিগির মাঠে তিল ধরার ঠাই ছিল না।