বাংলারদর্পন ॥ কুমিল্লায় বিপুল পরিমাণ পাইরেটেড ও অশ্লীল অডিও-ভিডিও সিডি তৈরির সরঞ্জামাদিসহ পাইরেসি চক্রের ১৯ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব। মঙ্গলবার রাতে অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লা টাউন হল সুপার মার্কেট থেকে তাদেরকে আটক করা হয়েছে বলে জানান র্যাব-১১ কুমিল্লার সিপিসি-২ কুমিল্লা কমান্ডার মেজর আরিফুর রহমান।
পর্ণোগ্রাফি ও পাইরেসি চক্রের সদস্যরা হলেন, মো. সুমন, মো. মহিউদ্দিন সোহাগ, সুজন চন্দ্র দাস, নয়ন দত্ত, মো. তারেক, মো. কামরুল ইসলাম, মো. সাইফুল ইসলাম মিশু, জনি সাহা, মো. আব্দুর রহিম, মো. রোমান, শ্রী অজিত কুমার দে, শ্রী শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, সূর্য চক্রবর্তী, মো. রাফাত, মো. খোকন মাহমুদ, সৌরভ দাস, মোহাম্মদ আলী রিয়াদ, মাহমুদ হাসান ছোটন ও অর্জুন বেনাথ। বুধবার র্যাবের প্রেস ব্রিফিংয়ে কুমিল্লা কমান্ডার মেজর আরিফুর রহমান জানান, চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা ও পাইরেসি বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের ধারাবাহিকতায় টাস্কফোর্স এর এমআর আলম চৌধুরী নেতৃত্বে ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে পর্ণোগ্রাফি ও পাইরেসি চক্রের ১৯ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের থেকে ২০ টি মনিটর, ২০টি সিপিউ , ১টি ল্যাপটপ ও হার্ডডিস্ক, ৬ টি ক্যাবল এবং ২ হাজার ৪শ’ ৯৫টি পাইরেটেড সিডি উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্ততি চলছে।
তিনি বলেন, আটককৃতদেরকে র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বলেন, বিভিন্ন সিনামা হলে গোপন ক্যামরায় ধারণের মাধ্যমে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত পাওয়া সিনামাগুলো নকল ও কপি করে বাজারে বিক্রয় করতেন। এসব কাজে সিনামা হলের কর্মচারী বা মালিকরাও তাদেরকে সহায়তা করতেন। এছাড়া মিউজিক্যাল স্টুডিও এবং এ্যাডফার্ডের কলাকুশলীদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে নতুন মিউজিক ভিডিও সমূহ সংগ্রহ করে। ওই সকল ভিডিও’র সাথে তারা অশ্লীল ছবির অংশ সংযোগ করে। তারপর নতুন করে সিডি তৈরি করে বাজারে বিক্রয় করে আসছেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন নায়ক-নায়িকা ও সাধারণ ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ছবি সংগ্রহ করে ফটোশপে এডিটিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন সিডির কভার হিসেবে ব্যবহার করছে।
মেজর আরিফুর রহমান বলে, আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় র্যাবের তদন্ত চলছে। সন্ধান ফেলেই অভিযান চালাবো এবং অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করবো।