সম্পাদকীয় : ০৭ ডিসেম্বর ২০১৭।
প্রশ্নটি আমার এক বন্ধুর। পেশায় প্রকৌশলী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সদ্য প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের জন্ম আর দশজনের মতোই এক সাধারণ পরিবারে। বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। পড়াশোনা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকরির মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু। হয়েছেন তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তা, টেলিভিশন অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন, হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়ী নেতা। ২০১৫ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হয়েছেন। নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে বিতর্ক ছিল। বিতর্ক ছিল তার ব্যবসার লাভ কর হিসাবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে প্রদান নিয়েও। তারপরও সবকিছু ছাপিয়ে তিনি যেন হয়ে উঠেছিলেন এক নতুন ধারার সংগঠক, রাজনীতিবিদ।
আনিসুল হকের সঙ্গে পরিচয় নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝিতে। তখন আমি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ট্রেজারি ও ইন্সটিটিউশনাল ব্যাংকিংয়ের প্রধান। যদিও তখন পরিচয় হয়েছিল প্রাতিষ্ঠানিক সূত্রে, তবে ব্যক্তি আনিসুল হকের সঙ্গে পরিচয় আমার আশির দশকের মাঝামাঝিতে। আমার সুযোগ হয়েছিল বাংলাদেশ টেলিভিশনে জ্ঞান-জিজ্ঞাসা এবং বিতর্ক প্রতিযোগিতাগুলোয় অংশ নেয়ার। সেই সূত্রে তখন বিটিভির অত্যন্ত জনপ্রিয় উপস্থাপক আনিসুল হকের সঙ্গে আমার পরোক্ষ পরিচয় ঘটেছিল। সেই পরিচয়ের ঘনিষ্ঠতায় আমি তাকে যেভাবে দেখেছি, তাতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাঈদকেও অনেকটা কৃতিত্ব দেব। আনিসুল হকের সঙ্গে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাঈদের বেশ সখ্য ছিল। আমি যে কয়েকবার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে গিয়েছিলাম, প্রায় সব সময় আনিসুল হককে ওখানে দেখেছি।
আনিসুল হক বেশ কয়েকটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ছিল ‘সবিনয়ে জানতে চাই’। পরবর্তীকালে তিনি এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনেকটা মানসিক চাপে পড়ে গিয়েছিলেন। দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বিকাশের ক্ষেত্রে যে ধরনের চাপ আমরা এখনও সহ্য করে যাচ্ছি, তারই মতো একটি চাপ ছিল এটি। যদিও রাজনীতিকদের অনেকে তাকে পছন্দ করতেন, অনেকে করতেন না; তারপরও তার ব্যক্তিগত উদারতা, মন-মানসিকতা এবং সবার সমস্যায় এগিয়ে আসার ক্ষেত্রে যে একটি চিন্তা-চেতনা ছিল, সে কারণেই ব্যক্তি আনিসুল হক সবার মধ্যে পরিচিত ছিলেন।
পরবর্তীকালে আমরা তাকে পেয়েছি একজন ব্যবসায়ী নেতা হিসেবে। তিনি তৈরি পোশাক খাতের রফতানিকারকদের প্রতিষ্ঠান বিজিএমইএ’র প্রধান ছিলেন। ছিলেন এফবিসিসিআই’র প্রধান। সেটি ছিল অত্যন্ত কঠিন একটি সময়। ব্যবসায়িক মহল থেকে উঠে আসা একজন ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও তিনি অনেকটা নাগরিক সমাজের একজন প্রতিনিধি হিসেবে ভূমিকা পালন করেছিলেন।
আমরা শুনেছি, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার, যারা অনেক সংস্থাকে নিয়ে আসতে চেয়েছিল নীতি অঙ্গনে, তারাও আনিসুল হককে বেশ পছন্দ করতেন। পরবর্তীকালে আমরা তাকে পাই সার্ক চেম্বারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে। সেখানেও বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সমাজকে সার্কভুক্ত অন্যান্য দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে আনিসুল হকের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
আমি যখন ১৯৯৭ সালে গুলশানে চলে আসি, সেই থেকে আনিসুল হক, তার স্ত্রী রুবানা হক, এমনকি তার সন্তানদের সঙ্গেও সখ্য বাড়ে। অনেকবার তার বাসায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। আমাকে বিভিন্ন সময় তার বক্তৃতা-বিবৃতি কিংবা নতুন কোনো চিন্তার পক্ষে মতামত গড়ে তোলার জন্য অথবা তার চিন্তাটিকে আরও শানিত করার জন্য, বিতর্কের ঊর্ধ্বে নিয়ে যাওয়ার জন্য, আরও গ্রহণযোগ্য করার জন্য তিনি বিকালে হোক, সন্ধ্যায় হোক, এমনকি গভীর রাতেও আমাদের ডেকে নিয়ে কিংবা আমাদের বাসায় এসে অনেক সময় মতামত গ্রহণ করতেন।
প্রায়ই দেখতাম তার এ উদ্যোগগুলোয় তার স্ত্রী রুবানা হকের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকত। মনে আছে, তৈরি পোশাক খাতে কী কী ধরনের পরিবর্তন প্রয়োজন, এ শিল্পের বিভিন্ন সংকটের সময়, এমনকি ব্যবসায়ী সমাজের বিভিন্ন সংকটের সময় তাদের সহায়তা করার জন্য যেসব নীতি-নির্দেশনানামায় পরিবর্তন কাক্সিক্ষত, সেগুলো নিয়ে আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলোচনা করেছি। অনেক সময় আমার বাসায়, কিছু সময় তার বাসায়ও।
পরবর্তীকালে আনিসুল হকের সঙ্গে দৈনন্দিন যোগাযোগে কিছুটা ভাটা পড়ে। এর কারণ তিনি বিদ্যুৎ খাতের উদ্যোক্তা হিসেবে, এমনকি একটি টেলিভিশন চ্যানেল গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অনেক বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সব শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ঢাকা উত্তরের মেয়র হিসেবে মনোনয়ন দেন। এটি আমাদের কাছে আশ্চর্য লেগেছে। আমরা যারা ব্যক্তি আনিসুল হকের সঙ্গে অনেকটাই বেড়ে উঠেছি, এ ব্যাপারটিকে খুব একটা সহজভাবে গ্রহণ করতে পারছিলাম না। আমাদের মনে হয়েছিল, হয়তো পর্দার অন্তরালে কোনো কিছু ঘটেছে।
পরবর্তীকালে নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি জয়লাভ করলেন। যদিও নির্বাচন কীভাবে হয়েছে, তা নিয়েও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। তারপরও আমি আবার নবনির্বাচিত মেয়র আনিসুল হকের সঙ্গে কমবেশি সম্পৃক্ত হয়ে গেলাম।
পরবর্তীকালে দেখলাম তিনি সবার সঙ্গে সমঝোতা করে, সবার কাছ থেকে বুদ্ধি-পরামর্শ নিয়ে, বিশেষত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকাকে ঢেলে সাজাতে চেয়েছেন। তার সঙ্গে আমার অনেক আলোচনা হয়েছে স্মার্ট সিটি নিয়ে, অপরাধ শনাক্ত করার মতো বিষয়গুলো নিয়ে- যাতে করে ভবিষ্যতে অপরাধ ঘটতে না পারে। সেটি ছোটখাটো অপরাধ হোক অথবা খুন কিংবা রাজনৈতিক সহিংসতা। যেটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে সেটি হচ্ছে, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা।
আমি যে সংগঠনের সঙ্গে জড়িত, সেই সংগঠনের কর্মকাণ্ডের অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা ডাটা এনালিটিক্স ব্যবহার করে এবং সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে গৃহীত তথ্য কিংবা আলোকচিত্র বিশ্লেষণের মাধ্যমে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে কীভাবে অপরাধ মোকাবেলা করা যায় এবং অপরাধপ্রবণতা কমানো যায়, সেসব ক্ষেত্রে কাজ করতে পারি।
পরবর্তীকালে স্মার্ট সিটি এবং ডাটা এনালিটিক্সের বিষয়ে আলোচনা করতে তার অফিসেও গিয়েছি। তখন আমাকে জানিয়েছিলেন তিনি কী ধরনের মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। বড় বড় প্রকল্প নিয়ে তিনি অনেক চিন্তিত ছিলেন। প্রথমত, এগুলো কে করবে, কীভাবে করবে? বিশেষ করে আমি বলতে চাই ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের রাস্তাঘাটের উন্নয়নের কথা। তারপর হলি আর্টিজান ঘটনার পর ‘ঢাকা চাকা’ বাস প্রবর্তনের কথা। এছাড়াও বিভিন্ন নিত্যনৈমিত্তিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার কথা, যেগুলো মেয়রকে অথবা মেয়রের অফিসকে করতে হয়। তিনি যেহেতু ব্যবসায়ী সমাজের প্রতিনিধি ছিলেন এবং আমাদের স্বার্থের অনুকূলে ছিলেন একজন নাগরিক সমাজের নেতা, স্বভাবতই তার কাছে আমাদের চাহিদা-আকাঙ্খা ছিল অনেক বেশি।
দ্বিতীয় বিষয়টি ছিল- সরকারের আমলাতন্ত্রকে পাশ কাটিয়ে কীভাবে তিনি কাজ চালিয়ে যাবেন।
তৃতীয় যে বিষয়টি ছিল- যার জন্য আমি সবচেয়ে বেশি কৃতিত্ব দিই তাকে- সেটি হচ্ছে, মানুষের সাধারণ জীবনকে ব্যাহত না করে সংস্কার কাজ চালিয়ে যাওয়া, রাস্তাগুলো ঠিক করা, ড্রেনেজ সিস্টেমগুলো ঠিক করা, কালভার্টগুলো ঠিক করা। রাজউকের সঙ্গে সমন্বয় করে আমাদের জলাধারগুলো ঠিক করা। বাস টার্মিনালগুলো থেকে দখলদারদের দৌরাত্ম্য এবং সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ড দূর করা। এগুলো ছিল অত্যন্ত কঠিন কাজ। এজন্য আমরা দেখতে পাচ্ছি, তার মৃত্যুর পর বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবাই তার ভালো কর্মকাণ্ডগুলোর প্রশংসা করেছেন। কী সুকঠিন ছিল তার এই কর্মযজ্ঞ! এ বিশাল দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে স্বভাবতই তিনি তার ব্যবসায় মনোনিবেশ করতে পারেননি। যদিও ব্যবসার যাতে খুব একটা ক্ষতি না হয়, সেজন্য তার সুযোগ্য পুত্র নাভিদুল হক এবং তার স্ত্রী রুবানা হক অনেক চেষ্টা করেছেন।
ব্যক্তি আনিসুল হকের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হচ্ছে ব্যবসায়ী হয়েও একজন নাগরিক সমাজের নেতা হয়ে যাওয়া। মানুষকে তার কর্মযজ্ঞের মধ্যে সম্পৃক্ত করতে পারা। তিনি আমাদের ভুলে যেতে দেননি, যদিও আমরা তাকে ভুলে যেতে চেয়েছিলাম। তিনি যখনই মনে করেছেন, এ বিষয়টি নিয়ে কারও সঙ্গে আলোচনা করা উচিত, তিনি তা করেছেন।
এ বছরের মে মাসে আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলাম। হঠাৎ করে ওয়াশিংটন ডিসিতে আমি তার একটা এসএমএস পেলাম। এসএমএসে একটি দিন-তারিখ ঠিক করে তিনি বলেছেন, ওই তারিখে আমার বাসার সামনে নাকি হেলিকপ্টার ল্যান্ড করতে পারবে। রাস্তার কার্পেটিং এমনভাবে করা হবে যেটি হেলিপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। যদিও কাজটি ওই নির্দিষ্ট দিনে সম্পন্ন হয়নি; কিন্তু আমি যেহেতু বিভিন্নভাবে বড় বড় কর্মকাণ্ড ও প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত ছিলাম, তাই জানতাম এ প্রকল্প বাস্তবায়নে কেমন সময় লাগতে পারে। তিনি কাঙ্খিত সময়ের আগেই প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করতে পেরেছিলেন। এমনকি মানুষের স্বাভাবিক কাজে কোনোরকম ব্যাঘাত না ঘটিয়ে তিনি তার সুযোগ্য প্রকৌশলীদের নিয়ে তার মহাযজ্ঞটি সম্পন্ন করতে পেরেছিলেন।
আনিসুল হক ছিলেন একটি নতুন ধারার রাজনীতির অন্যতম কাণ্ডারি। তিনি যে রাজনীতি শুরু করেছিলেন, তা হচ্ছে সমঝোতার রাজনীতি। আমি ক্ষমতায় থাকব মানেই অপরের কোনো কথা শুনব না, অপরপক্ষ কোনো ভালো কাজের মূল্যায়ন পাবে না, ইতিহাসে কোনো স্থান পাবে না- এসবে তিনি বিশ্বাসী ছিলেন না। এই যে একটি নতুন ধারা সৃষ্টি হয়েছে- ব্যক্তি আনিসুল হক, টেলিভিশনের জনপ্রিয় উপস্থাপক আনিসুল হক- একজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে, পিতা হিসেবে, বড়ভাই হিসেবে, কমিউনিটির একজন লিডার হিসেবে তিনি গতানুগতিক, দুঃখজনক রাজনৈতিক ধারার বিপরীতে একটি অবস্থান করতে পেরেছিলেন। আমি দেখেছি, কেউ যদি তার বিপরীত স্রোতের ব্যবসায়ীও হয়ে থাকেন, তার সাহায্যের জন্যও তিনি এগিয়ে গেছেন। আমি দেখেছি, ব্যবসায়ী সমাজের বিভিন্ন ক্রান্তিলগ্নে তিনি এগিয়ে গেছেন। তিনি কখনও প্রগতিশীল পত্রিকাগুলোর সম্পাদক, টেলিভিশন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক, কিংবা ব্যবসায়িক নেতা- তারা তার রাজনৈতিক মতাদর্শের বিপরীতমুখী হলেও তাদের ছেড়ে যাননি।
সর্বশেষ তার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল তৈরি পোশাক খাতের অন্যতম শীর্ষ রফতানিকারক ফজলুল আজিমের বাসায়। সেখানেও তাকে অনেক রোগা দেখাচ্ছিল। আমি যখন জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনার স্বাস্থ্য ভালো আছে কিনা, প্রত্যুত্তরে তিনি আমাকে বলেছিলেন, যতটুকু ভালো থাকা সম্ভব তিনি চেষ্টা করছেন। এর দুই মাস পর তিনি লন্ডনে গেলেন তার দৌহিত্রকে দেখার জন্য। সেখানেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন। তাকে নিয়ে যেসব গুজব ছড়ানো হয়েছে এবং গুজব চালিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেটিকে আমি খুব বড় করে দেখি না। এটি মূলত আমাদের বাঙালিদের রাজনীতি, বাঙালিদের মন কী ধরনের সন্দেহপ্রবণ সংস্কৃতির আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হচ্ছে, তারই একটি প্রমাণ। এজন্য আমি কাউকে দায়ী করতে চাই না।
আমি বলতে চাই, ব্যক্তি আনিসুল হক যে এক নতুন ধারার রাজনীতি- সমঝোতার রাজনীতি, কিংবা ধৈর্যের সংস্কৃতি গড়তে চেয়েছিলেন এবং রাজনৈতিক নেতাদের আরও বেশি করে নতুন ধারার অর্থনৈতিক চিন্তাভাবনাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন, তার মৃত্যুর পরও সেই ধারাটি যাতে অব্যাহত থাকে, সেটিই হবে ব্যক্তি আনিসুল হক, উদ্যোক্তা আনিসুল হক, নব্যধারার রাজনীতিবিদ আনিসুল হকের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন।
মামুন রশীদ : অর্থনীতি বিশ্লেষক