বাংলারদর্পন : গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই রাহুল গান্ধী সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হতে পারেন বলে আলোচনা চলছে দেশটির গণমাধ্যমে।
আগামীকাল সোমবার দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির (সিডব্লিউসি) বৈঠকেই সভাপতি নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক হতে পারে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ১৭ বছর ধরে কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সোনিয়া গান্ধীর ছেলে সহসভাপতি রাহুল মায়ের মতোই দলের নিরঙ্কুশ সমর্থন পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তাই দলটির সভাপতি নির্বাচনে ভোটাভুটি হতে পারে কেবলই আনুষ্ঠানিকতা।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দলীয় সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসবেন সিডব্লিউসির ২৫ নেতা। সেই বৈঠকে সভাপতি নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করাসহ দলীয় বিভিন্ন পদে নেতা নির্বাচনে ভোটাভুটির বিষয়ে আলোচনা হবে।
ভারতের নির্বাচন কমিশনের বর্ধিত সময় অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দলীয় নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে কংগ্রেসকে।
কংগ্রেস সূত্রে জানা যায়, দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষ সভাপতি পদপ্রার্থীদের আগামী সপ্তাহ থেকে আবেদন শুরুর তাগিদ দিচ্ছে। আবেদনের সর্বশেষ সময় ঠিক করা হয়েছে ১ ডিসেম্বর। আর সভাপতি নির্বাচনে ভোটাভুটি হতে পারে গুজরাট রাজ্য নির্বাচনের আগের দিন ৮ ডিসেম্বর।
এ বিষয়ে কংগ্রেস নেতা জনার্দন দ্বিবেদী শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, সভাপতি পদে শুধু একজন যদি আবেদন করেন, তবে প্রার্থিতা দাখিলের শেষ দিনে কংগ্রেসের নতুন নেতার নাম ঘোষণা করা হবে।
গত মাসে এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সোনিয়া গান্ধীও রাহুলের পদোন্নতির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
৭০ বছর বয়সী সোনিয়া গান্ধী ১৯৯৮ সাল থেকে দলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনিই দলটির সবচেয়ে বেশি দিন ধরে দায়িত্ব পালন করা সভাপতি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অসুস্থতার কারণে তাকে জনসম্মুখে খুব একটা দেখা যাচ্ছে না; চিকিৎসার জন্য এ বছর তিনি একাধিকবার যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন বলে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে।
২০১৩ সালে সহসভাপতি হওয়ার পর থেকেই রাহুল দলের দ্বিতীয় শীর্ষ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন। গত বছরের নভেম্বরে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি রাহুলের পদোন্নতি নিয়ে আলোচনা করে এবং সভাপতি পদে তাকে ‘সর্বসম্মত ও জোরালোভাবে’ সমর্থন জানায়।