বাংলারদর্পন
খেলা ডেস্ক | ০৭ নভেম্বর ২০১৭।
ঢাকা ডায়নামাইটসের মতো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসও বিপিএলে প্রথম জয় তুলে নিল দ্বিতীয় ম্যাচে এসে। প্রথম ম্যাচে সিলেটের নুরুল হাসানের শেষ বেলার নৈপুণ্যে জয় হাতছাড়া হলেও আজ চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে কুমিল্লার জয়টা নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েই—৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। প্রথমে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বোলিংয়ে চাপের মুখে ম্যাচে ফিরে কুমিল্লা জয়টা নিশ্চিত করেছে ইংলিশ তারকা জস বাটলারের ব্যাটে ভর করে।
অথচ সৌম্য সরকার ও লুক রনকির ৬৩ রানের ওপেনিং জুটিতে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখছিল চিটাগং। রনকি ৪০ রান করে ফিরে গেলেও দিলশান মুনাবীরার সঙ্গে ৩৮ রানের জুটি গড়েছিলেন সৌম্য। কিন্তু এরপরই মড়ক। ১০১ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানো দলটি ১৩৩ রান তুলতে ৭ উইকেট হারিয়েছে। মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় প্রত্যাশিত সংগ্রহে পৌঁছাতে পারেনি মিসবাহ-উল-হকের দল। বল হাতে ২৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন সাইফউদ্দিন। ক্যারিবীয় তারকা ডোয়াইন ব্রাভো তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট। যে সংগ্রহটা ১৮০ বা তার বেশি হতে পারত, সেটি ১৪৩ রানে থামিয়ে দিয়ে কুমিল্লা মানসিকভাবে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল। বাটলারের (৪৮) সঙ্গে ইমরুল কায়েস আর মারলন স্যামুয়েলন যথাক্রমে ৩৩ আর ৩৫ রানে অপরাজিত থেকে কাজটাই কেবল সেরেছেন। লিটন আউট হয়েছেন ২৩ রানে।
চমৎকার সূচনা করেছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের দুই ওপেনার বাটলার ও লিটন। ৪৩ রানের ওপেনিং জুটির পর শুভাশিসের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন লিটন। পাওয়ার প্লেতে ওই একটি উইকেট হারিয়েই ৪৯ রান তুলে নিজেদের কাজটা অনেকটাই এগিয়ে নেয় সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।
দ্বিতীয় উইকেটে ইমরুল কায়েস ও বাটলারের ৫৭ রানের জুটি ভেঙেছেন সেই শুভাশিসই। কিন্তু অভিজ্ঞ মারলন স্যামুয়েলসের সঙ্গে হার না মানা ৪৪ রানের জুটি গড়ে চট্টগ্রামকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন ইমরুল। চিটাগংয়ের তাসকিন আহমেদ দক্ষিণ আফ্রিকায় নিজের বাজে ফর্ম বিপিএলেও অব্যাহত রেখেছেন। ৩ ওভারে রান দিয়েছেন ৩৬। ২৪ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন শুভাশিস।