ফেনী প্রতিনিধি :
ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কের (পাঁচগাছিয়া রোড) আজিজ শপিং সেন্টারের আবাসিক হোটেল তাসপিয়া থেকে সোমবার বিকেলে সাত জোড়া যুবক-যুবতিকে অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত থাকা অবস্থায় আটক করছেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. সারোয়ার সালাম। আটককৃতদের ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট পিকেএম এনামুল করিম এর আদালতে হাজির করা হলে সাত যুবককে বিভিন্ন মেয়াদে জেল জরিমানা দেয়া হলেও যুবতিদের মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকদের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়। আদালত হোটেলটি তালাবন্ধ করে দিয়েছে।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ওই হোটেলে হানা দেয়। এসময় অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত থাকা অবস্থায় সাত জোড়া যুবক-যুবতিকে আটক করা হয়। তারা হোটেল বুকিং নেয়ার সময় নিজেদেরকে স্বামী-স্ত্রী বলে পরিচয় দেয়। আটককৃতরা হলেন- পরশুরামের শালধর গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে মো. মোস্তফা (৩৮), হোটেল ম্যানেজার ফেনী সদরের মিয়া বাজার সংলগ্ন কাতালিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিন (৪৭), নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার পন্ডিত বাজার এলাকার নুর ইসলামের ছেলে নুর মোহাম্মদ নোমান (২৩), কোম্পানীগঞ্জের রাজাপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে নুর হোসেন (৩৫), একই এলাকার রামপুর গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে ওমর ফারুক (২৭), ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মঙ্গলকান্দির মফিজুর রহমানের ছেলে দিদারুল আলম (২৭), কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার উত্তরদা খিলপাড়ার সাইফুল ইসলাম (২৩)। এদিকে হোটেল ম্যানেজার মো. গিয়াস উদ্দিনকে একমাসের কারাদন্ড ২শ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো একদিনের কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়।
নুর মোহাম্মদ নোমান, নুর হোসেন, দিদারুল আলমকে ৭ দিনের কারাদন্ড ৩শ টাকা জরিমানা অনাদায়ে দুই দিনের জেল দেয়া হয়। এছাড়া ওমর ফারুককে ২ দিনের জেল ও সাইফুল ইসলামকে ৩দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট পিকেএম এনামুল করিম। অপরদিকে আটক নারীদের অভিভাবকদের খবর পাঠানো হয়। অভিভাবকরা উপস্থিত হলে মুচলেকা নিয়ে তাদের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া আদালত হোটেলটিতে তালাবন্ধ করে দিয়েছে।
ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট পিকেএম এনামুল করিম সাত জোড়া যুবক-যুবতিকে কারাদন্ড ও মুচলেকার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, তাসপিয়া আবাসিক হোটেল থেকে এর আগেও ৪/৫ বার অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে যুবক-যুবতীদের আটক করা হয়। হোটেল কর্তৃপক্ষ যেন অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য হোটেলটি চালু করেছেন বলে ওই মার্কের্টের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ।