যন্ত্রনার আরেক নাম কর্ণফুলীর সিএনজি সড়ক

 

চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা চৌমুহনি থেকে শাহমীরপুর ফকিরনীর হাট পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সড়ক নরক যন্ত্রণায় পরিণত হয়েছে। মহাসড়কে টেক্সি চলাচল নিষিদ্ধ হওয়ার পর এই সড়ক হয়ে প্রতিদিন আনোয়ারা, চন্দনাইশ, বাঁশখালী রুটে চলাচল করে শত শত টেক্সি। সড়কের নাজুক অবস্থায় ১০ মিনিটের এই দূরত্ব পার হতে সময় লাগছে প্রায় এক ঘন্টা।

স্থানীয় শিকলবাহা ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সড়কে ৭০ হাজার টাকার মত ব্যয় করে সামান্য কাজ করা হয়েছে। তবে,  এখনো সড়কটি সংস্কারে বড় বরাদ্ধ পাওয়া যায়নি।’

জানা যায়, শিকলবাহা ক্রসিং থেকে শিকলবাহা চৌমহনী পর্যন্ত এক কিলোমিটার হাইওয়ে সড়ক ঘোষণা করায় তিন চাকার যানবাহন সিএনজি অটোরিক্সা ফকিরনীরহাট ভিতর দিয়ে যাওয়া সার্কুলার সড়ক  দিয়ে শিকলবাহা চৌমুহনী গিয়ে বের হয়ে মইজ্জ্যার টেকসহ নগরীতে প্রবেশ করে আসছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের বেশিরভাগ টেক্সি এই সড়ক হয়ে চলাচল করায় স্থানীয়দের কাছে এটি টেক্সি সড়ক হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে।

এ সড়ক দিয়ে আনোয়ারা, বাশঁখালী, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, পেকুয়া, চকরিয়াসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের লক্ষাধিক যাত্রী চলাচল করে আসছে। সড়কটি দিয়ে অতিরিক্ত ও ভারী যানবাহন চলাচল করায় সড়কটি দ্রুত চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে করে সাধারণ মানুষের সময় ও ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। ফলে এ সড়কের উপর চাপ বেড়ে যায়, পাশাপাশি সড়কটি গ্রামীণ সড়ক ও ছোট হওয়ায় বর্তমানে এর বেশ কয়েকটি অংশ খানাখন্দে ভরে গেছে।

এ সড়কে চলাচলকারী সিএনজি অটোরিক্সা চালক মফিজ উদ্দীন জানান, ‘মহাসড়কে সিএনজি অটোরিক্সা  চলাচল বন্ধ করে দেওয়াতে পিএবি সড়কের সিএনজি অটোরিক্স্রা ফকিরনীরহাট ভিতর দিয়ে হয়ে মইজ্জ্যারটেক গ্যাস নেওয়ার জন্য প্রতিদিন যেতে হচ্ছে আমাদের। ছোট সড়ক হওয়ায় অল্পতে খানাখন্দে ভরে গিয়ে দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়তে হয়। এছাড়াও সামান্য বৃষ্টিতে পানিতে ভরে এক একটি গর্ত জলাশয়ে পরিণত হয়ে যায়। অনেক সময় ১০ মিনিটের এ সড়কে এক ঘন্টা লেগে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *