বাংলার দর্পন ডটকম :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মৌচাক-মালিবাগ ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করবেন। আর সেকারণেই বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে ফ্লাইওভারটি। সংযোগ সড়কসহ ফ্লাইওভারটি রং-বে রঙের পতাকা আর হরেক রকম বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। পুরো ফ্লাইওভারটি এখন সাজ সাজ রব। তৈরি করা হয়েছে একটি অস্থায়ী মঞ্চ।
ফ্লাইওভারটি উন্মুক্ত করা হলে মৌচাক, মালিবাগ, বাংলামোটর, রাজারবাগ, শান্তিনগর, মগবাজার এলাকার যানজট অনেকটাই কমে যাবে। কেননা এখন যারা রাজারবাগ পুলিশ লাইন বা কমলাপুর স্টেশনে যেতে চাইবে তারা বাংলামোটর অংশ থেকে ফ্লাইওভারে উঠলে বাধাহীনভাবে রাজারবাগ পৌঁছে যাবেন কয়েক মিনিটেই। একইভাবে রামপুর, শান্তিনগর যাওয়া যাবে।
মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য ৮ দশমিক ২৫ কিলোমিটার। বিভিন্ন অংশে ফ্লাইওভারে উঠানামার জন্য তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা, সোনারগাঁও হোটেল, মগবাজার, রমনা (হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল সংলগ্ন রাস্তা), বাংলামোটর, মালিবাগ, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস ও শান্তিনগর মোড়ে র্যাম্প রাখা হয়েছে।
ঢাকার যানজট নিরসনে ১৯৯৯ সালের ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন বোর্ডের (ডিটিসিবি) সমীক্ষা অনুযায়ী ২০টি পয়েন্টে ফ্লাইওভার/আন্ডারপাস, বাস বে, বাস টার্মিনাল, পার্কিং এরিয়া নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছিল। তারই অংশ হিসেবে মহাখালী ও খিলগাঁও ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের অধীনে বাস্তবায়নাধীন মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার প্রকল্প ২০১১ সালে অনুমোদন পায়।