চিকিৎসকের অবহেলায় এবার ফেনীর জেড.ইউ মডেল হাসপাতালে প্রসূতির মূত্যু

 

ফেনী প্রতিনিধি :

মিশন হাসপাতালের পর এবার ফেনী জেড ইউ হাসপাতালে রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে মৃত্যু হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দাগনভূঞা উপজেলার আঞ্জুমান আক্তার নামের এক প্রসূতিকে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফার্মেসীর কর্মচারী রুহুল আমিনের মাধ্যমে জেড ইউ মডেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে মা ও শিশু কল্যাণ হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক ডা. বেলাল উদ্দিন আহমেদ রোগীকে সিজারিয়ান অপারেশান করেন। অপারেশন শেষে রোগীনিকে ৫০৭নং কেবিনে রাখা হয়। অজ্ঞান অবস্থায় রাতে তার অতিরিক্ত রক্তক্ষরন হলে সকালে মৃত্যু হয়। এসময় রোগীর স্বজনরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার ডাকার পর একপর্যায়ে এসে রক্তক্ষরন দেখে নার্সরা কেবিন থেকে স্বজনদের বের করে দেয়। তড়িঘড়ি করে কেবিনের রক্ত পরিস্কার করে রোগীনি স্ট্রোক করেছে বলে স্বজনদের জানায়। মৃত্যুর খবর পেয়ে রোগীর আরো স্বজনরা ভীড় করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে প্রসূতির লাশ বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। একপর্যায়ে হামলা-ভাংচুরের আশংকায় হাসপাতালের আশপাশে কিছু ভাড়াটে লোক মহড়া দিলে স্বজনরা লাশ বাড়ি নিয়ে যায়।

 

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ওই প্রসূতি হাসপাতালের ফার্মেসীর কর্মচারী রুহুল আমিনের আত্মীয় হওয়ায় তার মাধ্যমে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। ঘটনার পর থেকে রুহুল আমিনের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে নবজাতক শিশুটি এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। গতকাল কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি এড়িয়ে যান।

 

রাতে হাসপাতালের ম্যানেজার সুলতান আহম্মদ  জানান, গাইনী চিকিৎসক ডা. শামীমার অপারেশনের পর রোগীনির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সময় তিনি ডিউটিতে ছিলেন না দাবী করে বলেন, এর বেশি তিনি জানেন না। এছাড়া ঘটনাটি সম্পর্কে স্বজনদের কোন অভিযোগ নেই বলেও তার দাবী। তবে প্রসূতির বিস্তারিত ঠিকানা জানাতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *