ফেনী কিং হোটেলে যৌন ব্যাবসা:  বাংলার দর্পনে সংবাদ প্রকাশ:  দুটি হোটেল বন্ধ ৭ জনের জেল

 

ফেনী প্রতিনিধি ::

ফেনীর মহিপালে কতিপয় সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে পতিতাদের নিয়ে দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এসব অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধে বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় কিং বোর্ডিং ও ইউনিক আবাসিক হোটেল নামে দুইটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণ করা হয়। অভিযানকালে অশ্লীল কর্মকান্ড পরিচালনা ও জড়িত থাকার অভিযোগে ৭জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল ও জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালতে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফাহমিদা হক।

 

ভ্রাম্যমান আদালত সূত্র জানায়, ফেনীর মহিপালের মতো জনবহুল এলাকায় একটি অসাধু সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রী ও পতিতাদের নিয়ে দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এসব হোটেলে বিভিন্ন কক্ষে ঘন্টা প্রতি ৩শত টাকা, ৫শত টাকা, ৭শত টাকা ও ১হাজার ৫শত টাকার বিনিময়ে অশ্লীল কর্মকান্ড চালানো হতো। এসব নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়।

 

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে তল্লাশি চালিয়ে কিং বোর্ডিং আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার দুলাল মিয়াকে (৪০) চার মাসের কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ওই হোটেলের কর্মচারী মো. হারুনকে (৩০) চার মাসের, সালাহ উদ্দিনকে (৩২) তিন মাসের, কলেজ ছাত্র শিমুল চন্দ্র ভৌমিককে (১৯) এক মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এদিকে ইউনিক আবাসিক হোটেলের চিহ্নিত পতিতা ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন (২৮) ও অশ্লীল কাজের সহযোগিতাকারী করিম শেখকে (৪০) এক মাসের এবং ইউনিক আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার কফিল উদ্দিনকে (২৮) চার মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী হাকিম ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফাহমিদা হক দুইটি আবাসিক হোটেল বন্ধ ও বিভিন্ন মেয়াদে ৭জনকে জেল-জরিমানা করার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *