বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করায় প্রধান বিচারপতি হতে পেরেছি: এস.কে সিনহা

 

 

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন না করলে দেশের কে কি হতে পারতেন জানি না। তবে দেশ স্বাধীন হওয়ায় আমি প্রধান বিচারপতি হতে পেরেছি। তিনি দেশ স্বাধীন না করলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত অভাবনীয় উন্নয়নও হত না।

মৌলভীবাজার জেলা বারের পাঁচতলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর জনমিলন কেন্দ্রে এসব কথা বলেন তিনি।

দেশের প্রথাগত বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের প্রতি গুরুত্বারোপ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, পৃৃথিবীর উন্নয়নের সাথে সাথে আইনের পরিবর্তন হচ্ছে, গ্লোবালাইজেশনের ফলে মেধার বিকাশ ঘটছে। সাইবার আইনসহ বিভিন্ন আইনের সংস্কার এবং উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।

তিনি বলেন, আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলো দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দিচ্ছে। তাদের সে দেশের নাগরিকত্ব দিচ্ছে। দেশের মেধা পাচার হচ্ছে। মেধাশুন্য হচ্ছে দেশ। মেধা পাচার রোধে পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে আসতে হবে। শুধু সরকারের উপর নির্ভরশীল হলে চলবে না।

মৌলভীবাজার আইনজীবি সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট রণজিত কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানূর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- জেলা ও দায়রা জজ শেখ আবু তাহের, জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এজিএম আল মাসুদ।

আরও বক্তব্য রাখেন আইনজীবী মুজিবুর রহমান মুজিব, সমর কান্তি দাশ চৌধুরী প্রমুখ। বক্তব্যপর্বের আগে আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। শুরুতে কোরআন, গীতা ও বাইবেল পাঠ করা হয়।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আমার পেশাগত জীবনের সূচনাকালীন কর্মস্থল মৌলভীবাজার জেলা বারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করতে পারা জীবনের একটি স্মরণীয় দিন হিসেবে লিপিবদ্ধ থাকবে।

এ সময় আইনজীবীদের লক্ষ্য করে তিনি বলেন, মৌলভীবাজারসহ দেশের সকল আইনজীবীদের মেধার বিকাশ ঘটাতে আরো বেশি মাত্রায় পড়ালেখা করতে হবে। আইন শাসন নিশ্চিত করতে আইনজীবিদের ভূমিকা রয়েছে। পড়ালেখায় প্রনোদনা দিতে গ্রাম্য প্রবাদ বাক্য, যার নাই কোন গতি সে করে হোমিওপ্যাথি ও ওকালতি এর উল্লেখ করে বলেন, সে যুগ আর নাই। মেধার চরম উৎকর্ষকতার যুগে জ্ঞান অনুশীলনের বিকল্প নাই।

প্রধান বিচারপতি বলেন, দেশের সব আদালতে ঝুলে থাকা ৩০ লাখ মামলার নিষ্পত্তিতে আইনজীবীদের সহযোগিতা জরুরি। সরকারি সম্পদ রক্ষায় সরকারি প্রসিকিউটরদের আরো সচেতন হওয়ার পরামর্শের সঙ্গে আদালতের কার্যক্রম গতিশীল করতে বিচারক ও আইনজীবীদের মধ্যে পারস্পারিক সমন্বয়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

কোন কারণে বিচার বিভাগ এবং আইনজীবীদের সমন্বয়ের অভাব হলে আদালত বর্জন না করে তার স্মরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *