সোনাগাজীর কৃতি সন্তান  মাহমুদুল হক মৌলভীবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত

বাংলার দর্পন ডটকম >>>

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মর্কর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাহমুদুল হক প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তারে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতিসরুপ মৌলভীবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হয়েছেন। মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো: তোফায়েল ইসলাম এর সভাপতিত্বে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০১৭ বাছাই কমিটির এক সভায় তাকে জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত করেন। উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে মনিটরিং ব্যবস্থার কারণে ঝরে পড়া রোধ, মিড-ডে মিল কার্যক্রম, মা সমাবেশ, কাব স্কাউট সম্প্রসারণ, শহীদ মিনার নির্ম্মাণ, বন্ধু শিক্ষক, প্রয়াস কমলগঞ্জসহ ব্যতিক্রমীর সফল উদ্যোক্তাসহ প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখায় তাকে জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বাচিত করা হয়। এর আগে কমলগঞ্জ ইউএনও মোহাম্মদ মাহমুদুল হক রাজস্ব আদায়ে বিশেষ অবদানের জন্য মৌলভীবাজার জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ইউএনও, ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় কমলগঞ্জ উপজেলা ‘ইনোভেশন টিম’ ও ‘ই-সেবা প্রদানকারী দপ্তর’ হিসেবে পুরস্কার জিতেছে জেলার মধ্যে তথ্য-প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকা ’কমলগঞ্জ’। এছাড়া কৃষিতে সাফল্যের জন্য সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এ ব্যাপারে ইউএনও মোহাম্মদ মাহমুদুল হক তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, এ সম্মান কমলগঞ্জ উপজেলাবাসীর। শিক্ষর মানোন্নয়নে তারা আমাকে সার্বিক সহযোগিতা করছেন বিধায় আমি জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হয়েছি।

তিনি ফেনীর সাগরস্নাত সোনাগাজী উপজেলার পৌরসভাস্থ বাখরিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক কমলগঞ্জ উপজেলায় যোগদান করেই শিক্ষার উন্নয়ন, বেকারত্ব দুরীকরণ, বাল্যবিবাহ রোধসহ বিভিন্ন সামাজিক ও উন্নয়নমূলম কর্মকান্ডে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় প্রশংসিত হয়েছেন এবং ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে একজন সফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাহমুদুল হক প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তারে বিশেষ অবদান রাখায় জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হওয়ার পর পরবর্তী ধাপ পেরিয়ে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মুকুট মাথায় পরবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেনন কমলগঞ্জের শিক্ষক সমাজসহ কমলগঞ্জবাসী। সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষার উন্নয়নে যে “প্রয়াস” নামক যে প্রকল্প হাতে নিয়েছেন তার সুফল ইতিমধ্যে কমলগঞ্জ উপজেলা পেতে শুরু করেছে। এই প্রকল্প একদিন বাংলাদেশের জন্যে রোল মডেল হয়ে উঠতে পারে বলে সচেতন মহল আশাবাদী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *