বাংলার দর্পন ডটকম :
ড্যারেন সামির নামটি আশা করি সবাই জানেন। টি২০ ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তথা বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সফল অধিনায়ক তিনি। নিজ দেশের হয়ে নিজের অধিনায়কত্বে দুইবার টি২০ শিরোপা জিতেছেন তিনি। সর্বশেষ ২০১৬ সালের টি২০ শিরোপা জেতার পরই সামির নামে সেন্ট লুসিয়াতে ড্যারেন সামি ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম করা হয়। সামির জন্য এবং ক্রিকেটারদের জন্য এ এক অনন্য সম্মানের ও গৌরবের।সামি ছাড়া অন্য কোন ক্রিকেটারের নামে স্টেডিয়াম আছে কিনা, তা ঠিক এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না কিংবা আছে কিনা জানি না। অবশ্য থাকা না থাকাটা আমার লেখার বিষয়ও না।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের মহানায়ক মাশরাফি। ২০০১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্তও মাশরাফি ছিলেন শুধুই দেশ সেরা পেসার। কিন্তু ২০১৪ সালের শেষের দিকে তৃতীয় মেয়াদে অধিনায়কত্ব পেয়েই বদলে দিলেন বাংলাদেশকে। টানা সাফল্য পেয়ে দেশকে ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দলে পরিণত করেছেন। মাশরাফির অধিনায়কত্বে বদলে গেছে পুরো বাংলাদেশ। শুধু অধিনায়কত্বই নয়, ব্যাটে বলেও দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন দলকে। মাশরাফির অবদান ও সাফল্য এক বাক্যে স্বীকার করেন ক্রিকেট বোর্ড ও ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সবাই, আর ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রাণের স্পন্দন মাশরাফি। একের পর এক ইনজুরীর পরও যে মানুষটি একেবারে পঙ্গু হওয়ার আশংকা নিয়েও দেশকে সার্ভিস দিচ্ছেন, তার প্রতিদান হিসেবে অবশ্যই অনেক কিছু দেওয়ার আছে দেশের। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং বিসিবির তত্ত্বাবধানে অদূর ভবিষ্যতেই ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে এবং ভবিষ্যতে আরো স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে। আর কোন একটি স্টেডিয়াম যদি মাশরাফির নামে করা হয়, তা হবে মাশরাফির জন্য যোগ্য প্রতিদান। দেশের ক্রিকেটের জন্য অসামান্য অবদান স্বরূপ এটা পেতেই পারেন মাশরাফি। এতে দ্বিমত করার জন্য একজন মানুষও পাওয়া যাবে না বাংলাদেশে।বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো স্টেডিয়ামই মুক্তিযোদ্ধা ও সম্মানিত ব্যক্তিদের নামে। যারা দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। সে হিসেবে মাশরাফির অবদানও কম নয়, সময়ের সেরা বাঙ্গালী মাশরাফি। কাজেই মাশরাফির নামে স্টেডিয়াম নির্মাণ করতে সরকার ও বিসিবির উদ্যোগ নিতে হবে, বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে।ড্যারেন সামি ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার আগেই তার নামে স্টেডিয়াম হয়েছে। মাশরাফির নামে স্টেডিয়ামের জন্য উপযুক্ত জায়গা নড়াইলেই। সেখানে সম্ভব না হলে বিসিবি চাইলে যেকোন জায়গাতেই স্টেডিয়াম করতে পারেন। মাশরাফি এখনো অবসর নেননি, অবসরের আগে স্টেডিয়াম নির্মাণ ও পরিকল্পনা হাতে নেওয়া সম্ভব না হলেও অবসরের পরেই উদ্যোগ নেওয়া হউক, সরকার ও বিসিবির এমন আন্তরিকতা প্রকাশের দিকে চেয়ে আছে সারা দেশবাসী।