ফেনী প্রতিনিধি :
ফেনীতে প্রকাশ্য দিবালোকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে সরোয়ার আলম রাফসান(১৭) নামে এক কলেজ ছাত্রের ভুঁড়ি বের করে দিয়েছে সহপাঠী ও ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা। গত ১৬ জুলাই রোববার দুপুর ১টায় ফেনী শহরের ডাক্তার পাড়া মোড়ের বিএফসি চাইনিজ রেস্টুরেন্টের সামনে রাস্তার উপরে এ ঘটনা ঘটে। আহত কলেজ ছাত্র সরোয়ার আলম রাফসান চট্রগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বলে জানা গেছে। ঘটনার তিন দিনেও কোন আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় আহতের পরিবারের সদস্যরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পুলিশ ও আহতের পরিবার জানায়, ফেনী সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির প্রথম বর্ষের ছাত্র ও ফেনী সদর উপজেলার মাইজবাড়িয়া গ্রামের সিরাজ চেয়ারম্যান বাড়ির শামছুল আলমের ছেলে সরোয়ার আলম রাফসানের সাথে তুচ্ছ ঘটনায় সহপাঠীদের সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে ঘটনার দিন দুপুরে মুঠোফোনে বাসা থেকে ডেকে এনে নাজির রোডের (এডবোকেট কলমদার হায়দারের বিপরীত পাশের বাড়ির) মো. বেলাল হোসেনের সন্ত্রাসি ছেলে মো. জিহান, মোর্শেদ ওরফে সাদা বুড়ার ছেলে রবিউল হোসেন রবিন, শরীফুল হাসান, শাহরিয়ার মাহিন, মো. সিয়াম এবং নাজির রোডের টিপটপ মোড়ের আল-ফালাহ বিল্ডিংয়ের নীচ তলার ভাড়াটিয়া জাহিদের ছেলে সাব্বিরের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন সশস্ত্র সান্ত্রাসি রাফসানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ভুঁড়ি বের করে দেয় এবং শরীরের বিভিন্নস্থানে কাটা জখম করে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্রগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ ব্যাপারে আহত রাফসানের পিতা সামছুল আলম বাদি হয়ে ৬জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামি করে রোববার রাতেই ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ফেনী মডেল থানার মামলা নং-৪৭ তাং-১৬-০৭-২০১৭ইং।
ফেনী মডেল থানার ওসি মো. রাশেদ খান চৌধুরী বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামিরা গা-ঢাকা দিয়েছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।