নোয়াখালীর সুবর্নচরে ২ শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ 

 

 

মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী প্রতিনিধি :

নোয়াখালী সুবর্নচরে ১ লম্পট ব্যবসায়ীর যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে অবোধ ২ শিশু।

ঘটনাটি ঘটে সুবর্নচর উপজেলা ১নং চরজব্বর ইউনিয়নের চরজব্বর গ্রামে। এ ঘটনায় স্থানীয় পল্লী অাদালতে অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, উক্ত গ্রামের জয়নাল আহমেদ (জয়নাল মিস্ত্রি) পুত্র  হাশেম ওরফে হাশেম মিকার দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের মোস্তফা মিয়ার শিশু পুত্র দক্ষিণ চর ওয়াবদা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেনীর ছাত্র শাকিবুল হাসান (৭) ,  কামাল মিয়ার পুত্র শান্ত (৮) বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময়ে চিপস, চকলেক ও নগদ টাকা দেয়ার লোভ দেখিয়ে তারই দোকানে ভিতর ডুকিয়ে  ঐ দুই শিশুকে বেশ কয়েকবার যৌন নির্যাতন করে এবং কাউকে বললে তাদের কে মার ধরের হুমকি দেয়। গত ২৩ এপ্রিল ঐ ২ শিশুকে একই কৌশল দোকানে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় অভিযুক্ত লম্পট হাশেম ঘটনাটি শান্ত’র ভাই রহিম দেখে পেলে বাড়ীতে খবর দেয়।  ঘটনাটি জানাজানি হলে হাশেম মিকার ঘা পালিয়ে যায়। নির্যাতনের শিকার শাকিবুল হাসানের মা অভিযোগ করে বলেন, আমার নিষ্পাপ শিশুটির উপর এমন নিকৃষ্ট আচরন আমরা মানতে পারছিনা, ব্যপক জিজ্ঞাসাবাদে  ঘটনাটি তারা সম্পূর্ণ আমাদের খুলে বলে। সব শুনে স্থানিয় গন্যমান্য লোকজনদের জানালে তারা হাশেম কে  ডাকলে হাশেম ধরা দিচ্ছে না এবং উল্টো তারা মামলা হামলা সহ নানান ধরনের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।  এই ব্যপারে অভিযুক্ত লম্পট হাশেম মিকারের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আপনাদের যা খুশি তা করেন বলে ফোন বন্ধ করে দেন পরে অনেক বার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি । ভুক্তভোগী শিশু শাকিবুল হাসান এবং শান্ত বলেন বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় বাজার হয়ে যেতে হয় তাই হাশেম আমাদের চকলেট, চিপস কিনে দিতো পরে দোকানে ডুকিয়ে দরজা বন্ধ করে অসামাজিক কাজে বাধ্য করতো এবং রাজি না হলো বিভিন্ন হুমকি দিত। অভিযুক্ত হাশেমের  পরিস্কার রাস্তার মাথা নামক বাজারে তার নিজ কম্পিউটার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

এব্যাপারে চরজব্বর ইউপি চেয়ারম্যান তরিক উল্যা বিএসসির সাথে আলাপ কালে তিনি জানান, আমি মেম্বারের মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পেরেছি অভিযুক্ত হাশেম কে অাইনানুগ উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হবে।

 

https://m.youtube.com/watch?v=LU624F4IZds&hl=en&gl=US&client=mv-google

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *