‘দুদিন পরও জড়িতরা গ্রেপ্তার হয়নি’
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার মনুরহাট জিহাদ ফার্নিচার স্টোরে ভাংচুর -লুটপাটের ঘটনায় দুদিন পরও জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এজাহারনামীয় চার আসামি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশের দাবি তারা পলাতক।
জানাযায়, পুর্ব শত্রুতার জেরে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে মনুরহাট জিহাদ ফার্নিচার স্টোরে হামলা করে কথিত জামায়াত নেতা তোয়ালেব মাহমুদ ওরপে পপন ও তার সহযোগীরা। এ সময় তারা দোকানের ফার্নিচার ও গ্লাস ভাংচুর করে। এতে বাধা দেয়ায় দোকান মালিক রবিউল হক মজুমদার ও তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ক্যাশবাক্স থেকে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারিরা।
এঘটনায় পরদিন তোয়ালেব পপন(৫২), তার ভাই রনি(২২), হাসান মাহমুদ(৫০) ও শাহজালাল মানিকের বিরুদ্ধে ছাগলনাইয়ায় থানায় মামলা দায়ের করেন রবিউল হকের স্ত্রী জেসমিন আক্তার।
রবিউল হক জানান, দুদিন পরও পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। তাই তিনি স্বপরিবারে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও বাজার কমিটির সভাপতি ওবায়দুল হক মজুমদার বলেন, প্রকাশ্যে দোকানে ভাংচুর, দোকান মালিক রবি ও তার স্ত্রীকে মারধর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি উল্টো ক্ষতিগ্রস্ত ও আহত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা এফআইআর করেছে।
লুটপাটের বিষয়টি অস্বীকার করে তোয়ালেব মাহমুদ বলেন, মারামারির ঘটনা ঘটেছে, এতে দুপক্ষের লোক আহত হয়েছে। এজন্য পাল্টা-পাল্টি মামলা হয়েছে।
ছাগলনাইয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান ইমাম বলেন, ঘটনার রাতে রবিউল হককে আসামি করে তোয়ালেব পপন মামলা করেছেন, পরদিন রবিউল হকের স্ত্রী জেসমিন আক্তার তোয়ালেবগংদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। দুটি মামলা হওয়ার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য কয়েকবার পুলিশি অভিযান হয়েছে। তবে আসামিগন পলাতক হওয়ায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।