সোনাগাজী প্রতিনিধি :
সোনাগাজী পূর্ব তুলাতুলি গ্রামে গড়ে ওঠা দাতব্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনা খরচে বৃত্তি সহকারে পড়ার সুযোগ পেয়েছিল ঝরে পড়া দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মেয়েরা। সুযোগ করে দিয়েছিলেন মুন্সি খুরশীদ আলমের সুযোগ্য সন্তান ব্যারিস্টার নুরুল হক ও আনোয়ারা বেগম হক দম্পতি।
২০১৫ সালে গড়ে উঠা মুন্সি খুরশিদ আলম জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয় পর্যায়ক্রমে পূর্ণাঙ্গ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের রূপ নেওয়ায় এলাকায় শুরু হয়েছিল নতুন দিগন্তের।
প্রতিষ্ঠাতা ব্যরিষ্টার নুরুল হক দম্পতি গ্রাম বাসীকে জানিয়েছিলেন কখনো তারা মারা গেলেও বন্ধ হবে না এই প্রতিষ্ঠান তার জন্য পর্যাপ্ত সম্পদ ও অর্থ তারা রেখে যাবেন, কোন খরচ বহন করতে হবে না শিক্ষার্থীদের পরিবারকে, সম্পূর্ণ খরচ বহণ করবেন তারা।
আস্থা রেখেছিল গ্রামবাসী,পাঁচ বছরে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে সকল সুযোগ সুবিধা নিয়ে পড়ালেখা করে আসছেন, গত দুই বছরে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল দুটি ব্যাচ, এবারও রয়েছে ১৫জন পরীক্ষার্থী , হঠাৎ বিদ্যালয়ের সভাপতি ব্যারিস্টার নুরুল হকের ভাতিজা আহমদ আল আক্তার তারা আর প্রতিষ্ঠান চালাবেনা মর্মে ঘোষণা দেন, সকল শিক্ষার্থীদের অন্যত্র চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
হঠাৎ স্কুল বন্ধের ঘোষণায় শিক্ষার্থী অভিভাবক এবং শিক্ষকরা বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন। এদিকে খবর আছে ব্যারিস্টার নুরুল হক দম্পতি চরম অসুস্থ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক জানান, অসুস্থ নুরুল হক দম্পতিকে ভুলভাল বুঝিয়ে তার ভাতিজা স্কুল বন্ধ করে সম্পত্তি আত্মসাতের পাঁয়তারা করছেন।
জেসমিন আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী জানান, বিনামূল্যে পড়ানোর কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে এনে ভর্তি করিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
তামান্না নামের এক শিক্ষার্থী জানান, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে প্রতারণা করছেন, বলা হয়েছিল এ বিদ্যালয় কখনো বন্ধ হবে না!
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহেল কামাল সিদ্দিক জানান, বর্তমানে বিদ্যালয় ১৬৪ জন শিক্ষার্থী ৯জন শিক্ষক ১জন অফিস সহকারী রয়েছে।
এখানে শিক্ষার মান ফলাফল অত্যান্ত সন্তোষজনক, হঠাৎ দৃশ্যমান কোনো কারণ ব্যতিরেকে বিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা আমাদের মর্মাহত করেছে।
বিবি ফাতেমা মাহি নামের দশম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী জানান,৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত এখানে পড়ছি কিছুদিন পর পরীক্ষা, হঠাৎ স্কুল বন্ধের ঘোষণা কোন মতেই মেনে নিতে পারছিনা।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি আহমদ আল আক্তারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততার অজুহাতে পরবর্তীতে কথা বলবেন মর্মে কল কেটে দেন।