মোবাইল কার্ড কিনতে গিয়ে কিশোরী গণধর্ষণের শিকার, যুবক শ্রীঘরে

নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মোবাইল মিনিট কার্ড কিনতে গিয়ে কিশোরী গণধর্ষণ মামলার দ্বিতীয় আসামী রিফাত ওরফে রিপনকে (২২) কারাহারে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামী রিপন ৭নং বজরা ইউনিয়নের বজরা খাল পাড় এলাকার মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে।

সোমবার (১৪জুন) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েচে। এর আগে,গতকাল রোববার সকালে উপজেলার ২নং নদনা ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় কিশোরীর মা তিন ধর্ষককে আসামী করে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়রে করে ছিলেন। এ মামলার প্রধান ও দ্বিতীয় আসামীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত (২৯ এপ্রিল) নোয়াখালীর সোনানাইমুড়ীতে কিশোরী (১১) মোবাইল কার্ড কিনতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। পরে ওই দিন রাতে কিশোরীর মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত তিনজনকে আসামি করে সোনাইমুড়ী থানায় মামলা করেন। এরপর শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১টায় ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়।

জানা যায়, সোনানাইমুড়ীর এক রিকশাচালকের মেয়ে (২৯ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় একটি দোকানে মোবাইলের মিনিট কার্ড কিনতে যায়। দোকান থেকে ফেরার পথে একই গ্রামের বাকের মিয়ার বখাটে ছেলে আবদুর রব (২৩) তার গতিরোধ করে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখেন।

পরে পশ্চিম বজরা গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে রিপন (২৮) এসে তার মুখে গামছা পেঁচিয়ে স্কুলের পাশে ধানক্ষেতে নিয়ে যান। একই গ্রামের সেরু মিয়ার পুত্র সালা উদ্দিন (২৯) এসময় পাহারা দেন। এরপর তারা কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। পরে কিশোরী বাড়িতে এসে বিষয়টি পরিবারের সদস্যদেরকে জানায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *