কোম্পানীগঞ্জে সাংবাদিক মুজাক্কিরের দাফন সম্পন্ন | বাংলারদর্পণ

গিয়াস উদ্দিন রনি, নোয়াখালী-
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুর হাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা  ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের সংঘর্ষে গুলিব্ধি হয়ে নিহত সাংবাদিক বুরহান উদ্দিনের নামাজের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি)  রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের স্থানীয় আজগর আলী দাখিল মাদ্রাসা মাঠে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।

পরে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। নিহত মুজাক্কিরের বাবা মাষ্টার নোয়াব আলী (৭৫) এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 


এদিকে নিহতকে এক নজর দেখার জন্য এবং জানাজায় অংশ নিতে শোকে স্তব্ধ এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার হাজার হাজার মানুষ জানাজায় অংশ গ্রহণ করেন। 

কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, নিহতের জানাজা ও দাফন নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ তৎপর ছিল।

 


উল্লেখ্য, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশির হাট বাজারে কাদের মির্জা ও বাদল গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীনঅবস্থায় মুজাক্কির শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।


নিহত বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির (২৮), উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের নোয়াব আলী মাষ্টারের ছেলে এবং দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি ছিল। 

এর আগে, শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট তরকারি বাজারের সামনে সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদল গ্রুপের মধ্যে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই সময় সাংবাদিক মুজাক্কির সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহের সময় গলায় ছড়াগুলি বিদ্ধ হন।

এ অবস্থায় প্রথমে তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত পৌনে ১টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। এক পর্যায়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় আইসিইউতে তাঁর মৃত্যু হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *