শেখ সিরাজউদ্দৌলা লিংকন >>>
খুলনার কয়রায় কপোতাক্ষের ভাঙ্গন কবলিত স্থান থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন থামছেই না।
নির্বিকারে বালু তোলায় সদরের (একমাত্র লঞ্চঘাট) মদিনাবাদ লঞ্চঘাট,ঘাট সংলগ্ন পল্টন ও সদ্য নির্মিত পাউবোর বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় কয়রা থেকে জেলা শহর খুলনাতে যাতায়াতের প্রধান বাহন লঞ্চ অব্যাহতভাবে ভাঙ্গন কবলিত স্থান থেকে বালু উত্তোলন করায় নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে লঞ্চঘাট সংলগ্ন সদ্য নির্মিত পাউবোর বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে।
অব্যাহতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে কিছুদিন আগে বেড়িবাঁধটি নদীগর্ভে বিলীন হয় পাউবো কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক প্রকল্পের আওতায় লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে বাঁধ সংস্কার ও জিও ব্যাগ স্থাপন করেছে। লঞ্চঘাট দীর্ঘদিন যাবৎ অকেজো ছিল।
যাত্রীদের দীর্ঘ ভোগান্তির পর গত মাস খানেক আগে নতুন করে লঞ্চঘাট টি ও সংস্কারের মাধ্যমে দুর্ভোগ কমে গেছে। এরমধ্যে আবারো বালু সন্ত্রাসীরা একই স্থান থেকে বালু উত্তোলন করে তা ঘাট সংলগ্ন ভাঙ্গন কবলিত বেড়ি বাঁধের ধারে উচ্চ স্তুপ করে বিক্রি করছে ফলে ভাঙ্গন কবলিত নগ্ন স্থান ওজনের চাপে ধ্বসে যেতে পারে। উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় এভাবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও প্রকাশ্যে তা বিক্রয় করায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এছাড়া কপোতাক্ষ, সাকবাড়িয়া কয়রা নদীসহ উপজেলার বিভিন্ন সরকারি জলাশয় সহ প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে ড্রেজার এর মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও তা প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্য বিক্রয় করছে এতে করে একদিকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে অপরদিকে নদী ভাঙ্গন সহ নানা বিধ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
সরেজমিনে গেলে মদিনাবা লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা খোকন বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ এই ঘাট সংলগ্ন ভাঙ্গন কবলিত এলাকা থেকে অব্যাহতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙ্গন আতঙ্কে আমরা দিনাতিপাত করছি ফি বছর নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে আমাদের ভাসতে হচ্ছে, প্রশাসনকে বারবার জানালেও কোন কাজ হয়না।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন যে কোনো অশুভ শক্তির কারণে এটা বন্ধ হচ্ছে না তাছাড়া উত্তোলনকৃত বালু নগ্ন বাঁধের ওপর স্তুপ করে রাখায় ওজনের চাপে বাঁধ যেকোনো মুহূর্তে ধসে যেতে পারে এতে করে বাঁধের সন্নিকটে উপজেলা সদরের পাঁচতলা ডাকবাংলো ভবন, ৫তলা উপজেলা পরিষদ ভবন, থানাভবন সহ উপজেলা সদরের অফিস-আদালত বাজার ঘাট আশঙ্কা রয়েছে।
এ মুহূর্তে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ সহ স্তূপীকৃত বালু সরানো জরুরী। খোকনের মতো আরো অনেকেই এভাবে অভিযোগ করেছিলেন।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, মদিনাদ থেকে বালি উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়ার পরই গত সপ্তাহে তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আবার যদি কেউ বালি তোলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, বালু উত্তোলনকারী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। বাংলারদর্পণ