নোয়াখালীতে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক,

গিয়াস উদ্দিন রনি, নোয়াখালী-
নোয়াখালী সদর উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম চরমটুয়ায় গ্রামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ঘরে ঢুকে জোর পূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে পাওয়া গেছে।

সোমবার (২নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওই গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে করে সুধারাম থানায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) টমাস বড়ুয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সোমবার সকালে মৌখিক ভাবে অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত মো. শাহীন (২৭) নামে একজনকে আটক করেছে। সে একই এলাকার সোনামিয়া পাটোয়ারী বাড়ির আবদুরবের ছেলে। অভিযুক্ত অপর আসামিরা হলো, একই এলাকার নুর ইসলামের ছেলে মো.করিম (৩০), মৃত নুরনবীর ছেলে মো. হেলাল (৩০)।

অপরদিকে, সোমবার (২ নভেম্বর) সকালে সুধারাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তিলক বড়ুয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কিছু আলামত সংগ্রহ করেন। পুলিশ বলছে, গত বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) উপজেলার পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামে রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূর স্বামী বিগত তিন বছর প্রবাসে রয়েছে। আগে থেকেই অভিযুক্ত আসামিরা তাকে প্রায় উত্তক্ত্য করত। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় তিনি রাতের খাবার খেয়ে ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে একই বাড়ির মো.শাহীন (২৭) তার অপর দুই সহযোগী করিম ও হেলালের যোগসাজশে ঘরের জানালা খুলে তার কক্ষে প্রবেশ করে তার মুখ বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে। যাওয়ার সময় তার একটি নকিয়া সেট, একটি স্যামসাং এ-১০ মোবাইল সেট ও দেড় ভরি স্বর্ণ নিয়ে যায়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহীনের মা লাকী বেগমকে জানালে সে কিছু টাকা দেবে বলে তাকে চুপ থাকতে বলে। এর পর স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানকে জানালে তারা বিচারে বসবে বলে কালক্ষেপণ করে এবং তিন আসামিকে আটক করলেও চেয়ারম্যান নুর আলম ২৪ ঘণ্টা পর স্থানীয় মেম্বার বাবুল হোসেনের জিম্মায় ছেড়ে দেন। এরপর শাহীনের ভগ্নিপতি ভিকটিমের মোবাইলের সিম কার্ড ও মেমোরি কার্ড রেখে সেট দুটি ফেরত দেন বলেও ভিকটিম জানান।
ইউপি চেয়ারম্যান নুর আলম বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে আসামিদের ডেকে আনি। তখন গৃহবধূ তাকে ধর্ষণের কথা বলেনি। তাই আটককৃতদের স্থানীয় মেম্বারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয় এবং তাকে আইনের আশ্রয় নিতে অনুরোধ করি।

তদন্ত টমাস বড়ুয়া জানান, আটককৃত আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। অপর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *