অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পেলেন বহিষ্কারকৃত নেতা মালেক আকন্দ।
২০১৮ সালের কলাপাড়া উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলেও তৎকালীন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মালেক আকন্দ ও তার ছেলে মহিপুর থানা শ্রমিক লীগের সাবেক আহবায়ক বিরোধিতা করে। এবং তাদের কে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। উপজেলা নির্বাচনে নৌকা বিজয়ী হওয়ার পর ক্ষিপ্ত হয়ে নৌকার পক্ষে যারা কাজ করছিলো তাদের উপর হামলা চালিয়।
এ সময় গুরুতর আহত হয় দীর্ঘ দিনের পরীক্ষিত ও মহিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাওলাদারের হাত ভেঙে দেওয়া হয়।এক সুত্রে জানা যায় সাবেক মহিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি র উপর হামলা চালিয়েছিল কালা বাহিনীর প্রধান মালেক আকন্দ এর পুত্র সোহাগ আকন্দ। এবং সেরাজপুর গ্রামের মাছ ব্যাবসায়ী দুলাল এর ৭০ হাজার টাকার মাছ লুটে নেয়। ২০১৪ সালে কুয়াকাটা আগত পর্যটকদের উপর হামলা চালিয়ে তাদের সব কিছু কেরে নেয়।
নজিবপুর গ্রামের এক অসহায় পরিবারের শিশু কন্যাকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া আরেক মাছ ব্যাসায়ী সেলিম ওরফে বাংলা সেলিমকে মারধর করে গুরুতর আহত করেছিল।তাছাড়া মহিপুরের বিশিষ্ট মাছ ব্যাবসায়ী পান আলম ও রক্ষা পায়নি তার। এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার জন্য গড়ে তোলে কালা বাহিনী নামক এক বাহিনী।
এই কালা বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে মালেক আকন্দ। এই বাহিনীর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে মহিপুরের সব অপরাধ কর্মকান্ড ও মহিপুরের বাস, ট্রাক স্ট্যান্ড এবং বিভিন্ন ঘাট রয়েছে এই কালা বাহিনীর একক নিয়ন্ত্রণে। এই কালা বাহিনীর প্রধান দীর্ঘ টানা ১৪ বছর চেয়ারম্যান থাকা সত্যেও হয়নি দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন। আওয়ামিলীগ এর দুঃসময়ে তৎকালীন জাতীয় পার্টির ব্যানারে মহিপুরে আধিপত্য বিস্তার করে।
তারপর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। গেল নির্বাচনে সে চেয়ারম্যান না হতে পারলে জনসাধারণ ছিল কিছুটা শান্তিতে থাকলেও তার মনোনয়ন পাওয়ার কথা শুনে জন মনে আতংক বিরাজ করছে।